রাজ্যের অরাজকতা পরিস্থিতিতে শেষ পর্যন্ত রাষ্ট্রপতি শাসন চালু হবে এই নিয়ে বেশ কয়েকদিন ধরেই বঙ্গ রাজনীতিতে জলঘোলা হচ্ছে। কিন্তু কোন রাজ্যে হঠাৎ করে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হওয়া বা ৩৬৫ ধারা লাগু হওয়া অত সহজ নয় বলেই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তবে এবার আসানসোলের বিজেপি সাংসদ বাবুল সুপ্রিয় হুঁশিয়ারি দিয়েছেন যে এরকম অরাজকতা চলতে থাকলে খুব শীঘ্রই বাংলার ভবিষ্যতে রাষ্ট্রপতি শাসন লেখা আছে। তার এই মন্তব্য ঘিরে বঙ্গ রাজনীতিতে ফের চাপানউতোর শুরু হয়। বাবুল সুপ্রিয় সোজা ভাষায় জানিয়ে দিয়েছে বর্তমানে যেভাবে বাংলা চলছে তাতে সুষ্ঠুভাবে একুশের ভোট সম্পন্ন করতে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করতে হবে।
বাবুল সুপ্রিয় এদিন শাসক দলকে আক্রমণ করে বলেছেন, “কোনো রাজনৈতিক দল হিংসার পথে চললে তাকে আটকানোর সংবিধান আছে। রাজ্যের মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যদি মনে করেন মানুষকে ভয় দেখিয়ে বা হিংসার রাজনীতি করে জোর করে ভোট দেওয়া করাবেন, তাহলে তিনি খুবই ভুল ভাবছেন। দেশের সংবিধান এরকম হিংসার রাজনীতিকে মেনে নেয় না। এরকম চলতে থাকলে খুব শীঘ্রই বাংলায় রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হবে।” এছাড়াও এদিন তিনি বাংলার পুলিশ বাহিনীর তীব্র নিন্দা করেছেন। বাবুলের অভিযোগ শাসকদল পুলিশ বাহিনীকে বিজেপির বিরুদ্ধে কাজ করাচ্ছে।
অন্যদিকে বাবুলের রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করার প্রসঙ্গে পাল্টা জবাব দিয়েছেন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন “হিম্মত থাকলে রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করে দেখাক বিজেপি। রোজ রোজ একই হুঙ্কারের কোন মানে হয় না।” নির্বাচনের আগে তৃণমূলের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষকে ভড়কে দিতে এমন করছে বিজেপি বলে জানিয়েছেন তিনি। তিনি সরাসরি বাবুল সুপ্রিয়কে আক্রমণ করে বলেছে, “কোন পরিস্থিতিতে কোন রাজ্যে ৩৫৬ ধারা লাগু হয় তা আগে জেনে নেওয়া দরকার। বাবুল হয়তো ঠিক করে সংবিধানটা পড়েনি।”