প্রশান্ত কিশোরের বিরুদ্ধে ফের শোনা গেল তৃণমূল বিদ্রোহের ডাক। এইবার বিদ্রোহের ডাক শোনা গেল জলপাইগুড়িতে। ঘোষণা করেছেন তৃণমূল নেতা বুবাই কর। শুভেন্দুর ঘনিষ্ঠ এই তৃণমূল নেতাকে সম্প্রতি দেখা গিয়েছে একটি পোস্ট করতে। তাতে বেসরকারি সংস্থা হতে দলের নেতাদের কাছে হিসেব চাওয়ায় অপমানিত বোধ করেছেন তৃণমূল নেতা বুবাই কর। এই নিয়ে শুরু হয়েছে জলঘোলা। আর সেই জলঘোলা শুরু হতে না হতেই তাদের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে গেরুয়া শিবির। তাদের দাবি, কাটমানির সরকারে সংকীর্ণ হয়ে আসছে সৎ লোকেদের স্থান।
তৃণমূল জলপাইগুড়ি জেলা কমিটির যুগ্ম সম্পাদক হলে বুবাই কর। অনেকেই তাকে চেনেন শুভেন্দু অনুগামী হিসেবে। সম্প্রতি ফেসবুকে একটি পোস্ট করেছেন শুভেন্দু। তাতে তিনি তীব্র কটাক্ষ করেন প্রশান্ত কিশোরের সংস্থার। সাথে তাকে দেখা গিয়েছে ক্ষোভ প্রকাশ করতে। এইদিন পোস্টের মাধ্যমে বুবাই প্রতিবাদ জানিয়েছেন তৃণমূলের রাজনৈতিক কাজে প্রশান্ত কিশোরের সংস্থার হস্তক্ষেপের বিষয়ে। তার দাবি, বেসরকারি সংস্থার লোকেরা এভাবে দলে বেশি গুরুত্ব পাওয়ায় অপমানিত বোধ করছেন তৃণমূল নেতাকর্মীরা।
তার বক্তব্য,”মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, দলে কোনও বিকল্প নেই শুভেন্দু অধিকারীর। অথচ সেখানেই বেসরকারি সংস্থা এসে কর্মীদের অর্থাৎ তৃণমূল নেতা কর্মীদের কাজের হিসেব চাইছেন। কর্মীদের কাজ শেখাচ্ছেন। এতে অপমানিত বোধ করছেন দলের অনেক নেতা কর্মীই।”
এর সাথেই কিছু প্রশ্ন করেছেন বুবাইবাবু। তার প্রশ্ন,”তাবড় তাবড় নেতা রয়েছে দলে। তারা থাকতে রাজনীতি শিখতে হবে পিকের কাছে? কে এই পিকে? তিনি কি কোনও রাজনৈতিক নেতা? তিনি কি এই রাজ্যের কোন নেতা ? দলের কোন দায়িত্বে রয়েছেন তিনি? আমরা তো কিছুই জানিনা এখনও।”
তবে এখানেই থামননি বুবাই কর। এই দিন তিনি আরও বলেন,”পিকে কে নেতৃত্ব দিচ্ছে এতটা মানা যায়। কিন্তু দলের কোন নেতা ঠিক কোন পর্যায়ে আছেন ? এই সিস্টেম এলো কোথা থেকে? পিকে কে কেউ বাঁ কারা ব্যবহার করছে, আমি জানি না।” অন্যদিকে এই বিষয়ে মুখ খুলেছে স্থানীয় বিজেপিও। জলপাইগুড়ি বিজেপির তরফে জানানো হয়েছে, বুবাই বাবুর কথা একদম ঠিক। কাটমানির সরকারে আর সৎ মানুষের জায়গা নেই। তৃণমূলের ভিতরেই চলছে বিদ্রোহ।