ভোটের আগে আরো একবার অক্সিজেন পেল তৃণমূল কংগ্রেস। আজ সোমবার রাজ্যের মন্ত্রী এবং তৃণমূল নেতা ব্রাত্য বসু এবং মলয় ঘটক এর উপস্থিতিতে বেশ কয়েকজন যোগ দিলেন তৃণমূল কংগ্রেসে। সূত্রের খবর অনুযায়ী, বিগত ২০১৩ থেকেই তারা আসাদুদ্দিন ওয়াইসির দল এআইএমআইএম এর সঙ্গে অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ছিলেন। ফলে এই দুই ব্যক্তির তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পরেই আবারও নতুন করে অস্তিত্ব সঙ্কটে পড়তে চলেছে এআইএমআইএম ওরফে অল ইন্ডিয়া মজলিসে ইত্তেহাদুল মুসলিমিন।
এই দুই ব্যক্তির মধ্যে অন্যতম ছিলেন আনোয়ার পাশা। তিনি এআইএমআইএম এর প্রথম সারির নেতা হিসেবে পরিচিত। সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজের এই প্রাক্তনী তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করার সময়ে বলেন,” পশ্চিমবঙ্গে এমন একটি রাজ্য যেখানে প্রতিটি ধর্ম তার নিজের জায়গা খুঁজে পেয়েছে। আমরা সেই ধর্মীয় সহাবস্থানের ক্ষতি হতে দিতে পারিনা। তাই যা নির্বাচনের পরে বিহারে ঘটেছে, তার থেকে পশ্চিমবঙ্গকে শিক্ষা নেওয়া উচিত।”
বিশেষজ্ঞদের মতামত, এই বছরের নির্বাচনকে পাখির চোখ করে বাংলাতে নিজের আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টা করছে আসাদউদ্দিন ওয়াইসির দল এআইএমআইএম। কিন্তু নির্বাচনের আগে মিমের প্রথম সারির নেতা আনোয়ার পাশা দলবদল করে তৃণমূলে যোগদান করায় বেশ অনেকটা ধাক্কা খেয়েছে আসাদউদ্দিন ওয়াইসির স্বপ্ন। অনেকে দাবি করছেন, এআইএমআইএম সংখ্যালঘু ভোট ভাগ করার জন্য পশ্চিমবঙ্গে আসছে। তবে সেই সমস্ত অভিযোগ একেবারে উড়িয়ে দিয়েছেন আসাদুদ্দিন ওয়াইসি নিজে।
জানিয়ে রাখি, শুধুমাত্র আনোয়ার পাশা নয়, এদিন তার সাথে ঘাসফুলে যোগদান করলেন মুর্শিদ আহমেদ, আলী বক্স, এসকে হাসিকুল ইসলাম সহ আরো অনেকে। ফলে এআইএমআইএম থেকে তৃণমূলে যোগদান করার পরে আরো অনেকটা শক্ত হলো তৃণমূলের সংগঠন। এমনটাই মনে করছেন পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।