বিরিয়ানি খেয়ে সিঙ্গুর আন্দোলন করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, এরকমই নজিরবিহীন অভিযোগ তুলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। আজ দীলিপবাবু বলেছেন, বিরিয়ানি খেয়ে অনশনের কথা রাজ্যবাসী জানে। প্রসঙ্গত, এদিন অমিত শাহের বাঁকুড়া সফরে দলিত বাড়িতে ভাত খাওয়া প্রসঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেন তিনি নাকি ফাইভ স্টার হোটেল থেকে খাবার আনিয়ে মধ্যাহ্নভোজন করেছিলেন। এদিন সেই বক্তব্যের পাল্টা দিলীপ ঘোষ তৃণমূলকে খোঁচা দিলেন।
এদিন খাতরাতে একটি সভাতে গিয়েছিলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। সেখান থেকেই মমতার কটাক্ষের জবাব দিলেন তিনি। মমতা বৈঠক করেছিলেন, ফাইভ স্টার হোটেল থেকে বাসমতি চালের ভাত এবং পোস্তর বড়া নিয়ে আদিবাসী বাড়িতে খেয়েছিলেন অমিত শাহ। আদিবাসী ভোট পেতে ভাওতা দিয়েছিলেন বলেও মমতার অভিযোগ। পাশাপাশি মমতা অভিযোগ করেছিলেন, আদিবাসী ভোট পাওয়ার আশাতে বিরসা মুন্ডার ভুল মূর্তিতে মালা দিয়েছিলেন তিনি। রাজনীতির নাম করে গরিব মানুষদের ঠকাচ্ছে বিজেপি এরকম অভিযোগ ও শোনা গেল তার গলায়।
প্রসঙ্গত, ৫ নভেম্বর রাজ্য সফরে এসে সোজা বাঁকুড়াতে জনসভা করেছিলেন অমিত শাহ। সেখানে বিরসা মুন্ডার মূর্তিতে মালা দিয়ে আদিবাসী বাড়িতে মধ্যাহ্নভোজন করতে যান তিনি। আর এই মধ্যাহ্নভোজন নিয়ে রাজনীতির পারদ প্রথম থেকেই ঊর্ধ্বমুখী ছিল। স্থানীয় আদিবাসী সংগঠনের তরফে জানানো হয়েছিল, বিরসা মুন্ডার ভুল মূর্তিতে মালা দিয়েছিলেন তিনি। তাই সেখানে আবারো বিরসা মুন্ডার মূর্তি বসিয়ে তাতে মালা দিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস।
দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা অমিত শাহ বাংলাতে এসেছিলেন মূলত বিধানসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে। এসেই তিনি বিজেপি রাজ্য নেতৃত্বকে আদেশ দিয়েছেন কঠোর অনুশাসনে থাকার। পাশাপাশি তিনি প্রতি বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে দলীয় কর্মসূচি প্রচার করার নির্দেশও দিয়েছেন।