বামপন্থী ট্রেড ইউনিয়নগুলোর ডাকা ধর্মঘটে বেশ প্রভাব পড়লো পাবলিক ট্রান্সপোর্ট এর ক্ষেত্রে। শিয়ালদা স্টেশনে লক্ষ্য করা গেল, সকাল থেকেই বহু শাখাতে রেল পরিষেবা বন্ধ। শ্যামনগর অবরোধ পড়তে উদ্যত হয়েছেন বাম ট্রেড ইউনিয়ন এর সমর্থকরা। শুধু শ্যামনগর না, চুঁচুড়া, লক্ষীকান্তপুর এবং ডায়মন্ডহারবার স্টেশনে রেল চলাচলে বাধা দেওয়া হয়েছে। মধ্যমগ্রাম স্টেশনে আবার দেখা যায়, সাধারণ মানুষের সাথে বচসা শুরু হয়েছে ধর্মঘটিদের।
তবে প্রতি বারের মতো এইবারে ধর্মঘটেও সরকারি কর্মীদের অফিসে আসা বাধ্যতামূলক। এরাম নোটিফিকেশন জারি করার পরে স্বভাবতই ভোগান্তিতে পড়েছেন নিত্যযাত্রীরা। সময়মতো অফিস পৌঁছলো আজ বহু সরকারি কর্মচারীদের জন্য চ্যালেঞ্জ ছিল। তাই বহু মানুষ আজ ভরসা করছেন সরকারি এবং বেসরকারি বাসের উপরেই।
এদিন ধর্মঘটের দাবি হলো দেশের সাধারণ মানুষের মাথাপিছু আয় বাড়ানো নিয়ে। সিআইটিইউ, এআইটিইউসি, আইএটিইউ, সহ আরো অনেক বাম সংগঠন। ট্রেড ইউনিয়নের মুখ্য নেতৃত্বরা জানাচ্ছেন, করণাতে দেশের অর্থনীতি পুরোপুরি ভেঙ্গে পরেছে, জিডিপি একেবারে তলায়। ইতিমধ্যে বিভিন্ন জায়গাতে ছাটাই পর্ব শুরু হয়ে গেছে। ছোট ব্যবসায়ীসহ বড় ব্যবসায়ী সকলেই সমস্যার মধ্যে রয়েছেন। এই কারণে, মানুষের মাথাপিছু আয় বাড়ানোর দাবি নিয়ে তারা আসরে নামতে চলেছে।
দাবি-
১) শ্রম কোড বিল বাতিল।
২) তিনটি কৃষি আইন বাতিল।
৩) রেগা প্রকল্পে ২০০ দিনের কাজ নিশ্চিত করা।
৪) অসংগঠিত শ্রমিকদের সুরক্ষার জন্য মাসিক পেনশন এবং রেশনের ব্যবস্থা করা।