আসন্ন বাংলা বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূল বিজেপি দ্বন্দ্ব ঘিরে রীতিমতো উত্তপ্ত বঙ্গ রাজনীতি। ভোট-পরবর্তী সময়ে কেউ কাউকে এক ইঞ্চি জমি ছাড়তে চায় না। বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বারংবার শাসকদলের অরাজকতাকে তুলে ধরে কটাক্ষ করেন। তবে কড়া ভাষায় মমতা সরকারকে আক্রমণ করতে করতে জনসভায় শালীনতা ভুলে গেলেন দিলীপ ঘোষ। কদর্য ও অশ্রাব্য ভাষায় তৃণমূল সরকার ও জননেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ করলেন তিনি।
গতকালে বনগাঁর এক জনসভায় উপস্থিত ছিলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি সকাল-সকাল জনসভাতে গিয়ে বিভিন্ন ইস্যুতে তৃণমূলের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন। সেখানেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের “জয় বাংলা” স্লোগান এর কটাক্ষ করে তিনি বলেন কেন উনি বাংলাদেশ বানাতে চায় নাকি রাজ্যকে? তার সাথে তিনি বলেছেন জয় শ্রীরাম শুনতে পারেন না উনি। তাহলে রামের দেশে থেকে শরীর দিয়ে কিসের রক্ত বইছে। এরপরই তিনি তাঁর শালীনতা ভুলে বেফাঁস মন্তব্য করে বসেছেন, “রামের দেশে থেকে এরকম হা*মী এর মতো কাজ করতে লজ্জা করে না।”
সভায় দিলীপ ঘোষ এদিন “খোকাবাবু” র গুন্ডা আখ্যানকে মেনে নিয়ে বলেছেন, “রাজ্যে গুন্ডারাজ বন্ধ করতে দিলীপ ঘোষ নিজে গুন্ডা হয়ে যেতে পারে।” এর সাথে শাসক দলকে তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, বেশি বাড়াবাড়ি করবেন না। সময় শেষ হয়ে এসেছে। যত বাড়াবাড়ি করবেন পরে ততই মার খাবেন।” চৌরাস্তায় দাঁড় করিয়ে মারার হুমকি দিয়েছেন তিনি।
এছাড়াও তিনি তৃণমূলের অন্তর্দ্বন্দ্ব নিয়ে বিদ্রুপ করেছেন। সরাসরি তিনি আক্রমণ করে বলেছেন, “দল থেকে তো মন্ত্রীরা পালিয়ে যাচ্ছে। অনেক কাউন্সিলর তো আমার পিছনে দাঁড়িয়ে আছে গেরুয়া ঝান্ডা ধরার জন্য।” এককথায় একই জনসভাতে শালীনতা ভুলে বারবার শাসকদলের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন দিলীপ ঘোষ। নির্বাচন পূর্ববর্তী সময়ে ধীরে ধীরে পদ্মফুল ও ঘাসফুলের বিতর্ক ক্রমশই চরমে উঠছে।