আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূল শিবিরে অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে শুভেন্দু ইস্যু। অনেক তৃণমূল নেতাকর্মীরা শুভেন্দু অধিকারীর আনুগত্য পেতে তাদের “দাদার অনুগামী” বলে অভিহিত করেছিল। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মেদিনীপুরের সভাতে যাওয়ার আগেই পাশা বদলে গেল। “দাদার অনুগামী” হয়ে গেল “দিদির ভাই”। আর এই ঘটনা ঘটার পরেই বঙ্গ রাজনীতিতে এই প্রসঙ্গ নিয়ে প্রবল চাপানউতোর সৃষ্টি হয়েছে।
শুভেন্দু ঘনিষ্ঠ মুর্শিদাবাদের মোশারেফ ওরফে মধু এতদিন ধরে নিজেকে দাদার অনুগামী বলে পরিচয় দিচ্ছিল। এতদিন ধরে মোশারেফ বার্তা দিচ্ছিল সে শুধুমাত্র দাদার অনুগামী। দাদা যা বলবে তাই সে করবে। কিন্তু গত শুক্রবার তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এর সাথে ভার্চুয়াল বৈঠক করার পর মুর্শিদাবাদ জেলা সভাধিপতি মোশারফ হোসেন মন্ডল বলেন, “দিদি যা নির্দেশ দিয়েছেন তা আমি ওপরে অক্ষরে পালন করবো।” এই ঘটনা ঘটার পর অনেকগুলো প্রশ্ন উদয় হয়েছে বঙ্গ রাজনীতিতে। তাহলে মোশারফ আর কি দাদার অনুগামী নয়? মোশারেফ কি তাহলে তৃণমূলে থাকতে চাইছে? পরে মোশারফ “দাদার” ডাকে সাড়া দেবে না তো?
গত শুক্রবার মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তার রাজ্যের জেলার নেতাদের সাথে ভার্চুয়াল বৈঠক করেছিলেন। সেখানেই ডাকা হয়েছিল মোশারফকে। কিন্তু তৃণমূল সূত্রের খবর, প্রথমে মোশারফ ও শুভেন্দু অনুগামীদের বৈঠকে যোগ দেওয়ার লিঙ্ক দেওয়া হয়নি। পরে তাদের লিঙ্ক দিয়ে বৈঠকে যোগ দিতে বলা হয়। সেখানেই মধু দিদির কথামত কাজ করার জন্য রাজি হয়। তবে মধুর এই কথা অনেক নিচু তলার কর্মীরা যেন কিছুতেই বিশ্বাস করতে পারছি না। আবার তৃণমূল শুভেন্দু ঘনিষ্ঠদের বৈঠকে ডেকে তৃণমূল ছেড়ে যাওয়ার বিতর্কে ইতি টানতে চাইছে নাকি, সেটাই দেখার।