দেশনিউজ

টানটান উত্তেজনার মধ্যে উপত্যকায় চলছে ভোট গণনা, জম্মুতে এগিয়ে বিজেপি

Advertisement

শ্রীনগর: টানটান উত্তেজনা উপত্যকায়। জেলা উন্নয়ন পরিষদের ভোট গণনার শুরুতে আপাতভাবে বিজেপিকে পিছনে ফেলে এগিয়ে রয়েছে গুপকর গোষ্ঠী। দুপুর দুটোর বুথ ফেরত সমীক্ষা অনুযায়ী, ২৮০টি আসনের মধ্যে ৮১টি আসনে এগিয়ে রয়েছে ফারুক আবদুল্লার নেতৃত্বাধীন গুপকর গোষ্ঠী। বিজেপির ঝুলিতে আপাতত রয়েছে ৪৭টি আসন। উপত্যকায় খাতা খুলতে সফল হয়েছে কংগ্রেস। তারা ২১টি আসনে এগিয়ে রয়েছে।

বিভাজিত জম্মু ও কাশ্মীরে ২৫ দিন ধরে মোট ২৮০টি আসনে আট দফায় নির্বাচন হয়েছে। আজ ভোট গণনা ও ফল প্রকাশের দিন। সমীক্ষা অনুযায়ী, জম্মুতে ৪৪টি আসনে এগিয়ে রয়েছে বিজেপি। গুপকরের দখলে রয়েছে ২০টি আসন। অন্যদিকে কাশ্মীরে ধরা পড়ছে ঠিক উল্টো চিত্র। সেখানে ৬১টি আসন রয়েছে গুপকর গোষ্ঠী, বিজেপির ঝুলিতে রয়েছে মাত্র তিনটি আসন।

করোনা সংক্রমণের কথা মাথায় রেখেই ইভিএম মেশিনের বদলে ব্যালট পেপার দিয়ে ভোট গ্রহণ করা হয়েছে। তাই গণনাও সময়সাপেক্ষ হয়ে উঠেছে। অন্যদিকে, ফলঘোষণার আগেই ২০জন কাশ্মীরী নেতাকে আটক করা হয়েছে। পুঞ্চ সেক্টরে জারি করা হয়েছে ১৪৪ ধারা।

জম্মু-কাশ্মীরে বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহারের পর এই প্রথম নির্বাচন হল উপত্যকায়। ৩৭০ ধারা অবলুপ্ত করার প্রতিবাদেই ন্যাশনাল কনফারেন্স, মেহবুবা মুফতির পিপলস ডেমোক্রাটিক পার্টি সহ বিভিন্ন আঞ্চলিক দল একজোট হয়ে পিপলস অ্যালায়েন্স ফর গুপকর ডেক্ল্যারেশন তৈরি করে। তাদের প্রধান প্রতিপক্ষ বিজেপি। শাসক দল কটাক্ষ করে গুপকর গ্যাৎ নাম দিয়েছে এই জোট দলগুলিকে।

উপত্যকার নির্বাচন দুই শিবিরের কাছেই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। একদিকে, বিশেষ মর্যাদা তুলে নেওয়ার সময় থেকে দীর্ঘদিন গৃহবন্দি ছিলেন গুপকরের নেতারা। কাশ্মীরবাসীকে পুরনো মর্যাদা ফিরিয়ে দেওয়াই লক্ষ্য তাঁদের। অন্যদিকে উপত্যকা নিজেদের দখলে রাখতে এই নির্বাচনে জয় নিশ্চিত করতে চায় বিজেপি।

উপত্যকায় নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা বিজেপির অনুরাগ ঠাকুর বলেন, ‘আজই নির্বাচনের ফল ঘোষণা হবে এবং ভারতীয় জনতা পার্টির ফল নিয়ে আমি আত্মবিশ্বাসী। জম্মু-কাশ্মীরের মানুষ নতুন নেতৃত্ব চায়, যারা দায়িত্ব নিয়ে এলাকার সমস্যা সমাধান করবে। সাধারণ মানুষকে ভয় দেখালেও তারা ভোট দিয়েছেন। এটাই গণতন্ত্রের জয়। জম্মু-কাশ্মীরে পঞ্চায়েত, জেলা উন্নয়ন পরিষদের নির্বাচন করানো প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্ন ছিল, তা পূরণ হয়েছে।’

গুপকর জোটের প্রধান নেতারা বর্তমানে গৃহবন্দি না থাকলেও নির্বাচনী প্রচারে কেউই অংশ নেননি। অন্যদিকে বিজেপি বিভিন্ন কেন্দ্রীয় নেতৃত্বদের নিয়ে প্রচার চালিয়েছিল। তবে জম্মু ও কাশ্মীরে দুই দলের ফলাফল ভিন্ন হওয়ায় চূড়ান্ত ফলঘোষণার আগে কিছুই বলা সম্ভব নয় বলেই জানিয়েছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

Related Articles

Back to top button