করোনা পরিস্থিতিতে শিল্পীদের পাশে দাঁড়াল রাজ্য সরকার। সঙ্গীত মেলার মঞ্চ থেকে এই দিন মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেন,”জানুয়ারি থেকে ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে ৬৩০ টি মেলার আয়োজন করবে রাজ্য সরকার। এর ফলে শিল্পীরা আর্থিকভাবে উপকৃত হবেন”। ভোটের মুখে মুখ্যমন্ত্রীর মুখে শোনা গেল,”সম্প্রীতির সবচেয়ে বড় স্থান হল সঙ্গীত। মানবজীবনে কোনও বিভেদ নেই। সঙ্গীত মঞ্চ বিভাজনে বিশ্বাস করে না। দয়া করে এই পরিবারকে ভাঙবেন না। সবাই মিলে রুখে দাঁড়ান। বাংলা কে কিছুতেই গুজরাট করতে দেওয়া যাবেনা।”
প্রতিবছরের মতো এইবছরও হয়নি তার ব্যতিক্রম। করোনা পরিস্থিতিও এই বুধবার তথা আজ সঙ্গীতমেলার উদ্বোধন করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামী ৮ দিন ধরে চলবে মোহরকুঞ্জের মুক্তমঞ্চ সহ শহরের একাধিক স্থানে এই মেলা। মেলায় অংশ গ্রহণ করবেন পাঁচ হাজার সঙ্গীত শিল্পী। এইদিন সঙ্গীত মেলার উদ্বোধনী মঞ্চে রাজ্য সরকারের দিক থেকে কৃতী শিল্পীদের সঙ্গীত সম্মান দিলেন এবং সঙ্গীত মহাসম্মান পুরস্কার তুলে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঞ্চে পুরস্কার প্রাপক এক শিল্পীর সাথে নাচতেও দেখা গেল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। এক নজরে চলুন দেখে নেওয়া যাক কারা পেলেন সম্মান –
সঙ্গীত সম্মান পেলেন মিনা মুখোপাধ্যায়, পল্লব ঘোষ, সুজাতা সরকার, জয়তী চক্রবর্তী, ভগীরথ রায়, সুনীতি রায়, মণিকমল ছেত্রি, মাওলা কান্ত রায়, সৌরভ রায়, নূর আলম, সন্ধ্যা হেমব্রম, ইমরান মাহাতো, নূরজাহান। এছাড়া সঙ্গীত মহাসম্মান দেওয়া হল অসীমা মুখোপাধ্যায়কে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ইংল্যান্ডে নতুন রূপে ফিরে এসেছে করোনা ভাইরাস। ব্রিটেনে ছড়িয়া পড়েছে এই নতুন প্রজাতির করোনা। বুধবার থেকে ব্রিটেনের উড়ান নিষিদ্ধ করেছে ভারত সরকার। করোনার আতঙ্ক আরও একবার বেড়েছে ভারতে। এইদিন এই বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন,”করোনার মধ্যেও থাকতে হবে সুস্থ। শারীরিক দূরত্ব বিধি মানতে হবে। মাস্ক পড়তে হবে। সচেতন থেকেই করতে হবে সমস্ত কাজ।”