জিতেন্দ্র তিওয়ারি প্রসঙ্গে রাজনীতিতে নয়া মোড়, নিজের বিধানসভা কেন্দ্রে দলীয় কর্মসূচিতে পেলেন না আমন্ত্রণ
জিতেন্দ্র তিওয়ারি (Jitendra Tiwari) বিধানসভা কেন্দ্রে মহিলা তৃণমূল সম্মেলনের আমন্ত্রণ পাঠানো হলো না তাকে। জানানো হয়েছে, যা হয়েছে দলের শীর্ষ নেতৃত্বদের নির্দেশে
বঙ্গ রাজনীতিতে বেশ কয়েক দিনের চর্চার বিষয় হলেন জিতেন্দ্র তিওয়ারি (Jitendra Tiwari)। তিনি তৃণমূলে ফিরলেও তাকে পথ ফিরিয়ে দেওয়া হবে না বলে সাফ জানিয়ে ছিল তৃণমূল। কিন্তু এবার দলীয় সভার আমন্ত্রণপত্র থেকেও তার নাম উধাও হয়ে গেল। তিনি এবার নিজের বিধানসভা কেন্দ্রের মহিলা তৃণমূল সম্মেলনে ডাক পেলেন না। আগামী ২ জানুয়ারিতে পাণ্ডবেশ্বর এরিয়া গেস্ট হাউসে পশ্চিম বর্ধমান মহিলা তৃণমূলের সম্মেলন অনুষ্ঠান আছে। সেই অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণপত্র গতকাল প্রকাশ্যে আসে। আর তাতে কোন জায়গা নেই জিতেন্দ্রবাবুর।
এই প্রসঙ্গে দলে তরফ থেকে জানানো হয়েছে, “পুরো বিষয়টি উচ্চতর নেতৃত্বে নির্দেশে করা হয়েছে।” সেদিন মহিলা তৃণমূল সম্মেলনে উপস্থিত থাকবেন সংগঠনের চেয়ারপার্সন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। ঘটনা প্রসঙ্গ টেনে জেলা মহিলা দলের সভানেত্রী মিনতি হাজরা বলেছেন, “যা হয়েছে দলের শীর্ষ নেতাদের নির্দেশে হয়েছে। সমস্ত কথা চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য জানেন। কেউ কাউকে আসতে বারন করেনি। জিতেন্দ্রবাবু দলে থাকলে তিনি আসতেই পারেন।”
প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগে জিতেন্দ্র বাবু তার তৃণমূলের পদ থেকে ইস্তফা দেয়। অবশ্য ২৪ ঘন্টার মধ্যে তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বের সাথে বৈঠক করে তিনি জানিয়ে দেয়, “আমাদের ভুল বোঝাবুঝি হয়ে গিয়েছে।” জিতেন্দ্র তিওয়ারি তৃণমূলে থাকছেন এমন জানিয়ে তিনি টুইট করেন। টুইটে লিখেছিলেন, “আমি দিদির সাথে ছিলাম, আছি এবং ভবিষ্যতেও থাকবো।” কিন্তু এর পরও শাসক দলের শীর্ষ নেতারা জিতেন্দ্রকে তার পুরনো পদ ফিরিয়ে দিতে চাইনি। এমনকি তৃণমূলে আছি বলার পরেও বিতর্ক যায়নি জিতেন্দ্রর থেকে। গত সপ্তাহের শেষে জিতেন্দ্রবাবু কলকাতার এক পাঁচতারা হোটেলে উপস্থিত হন যেখানে বিজেপির শীর্ষ নেতারা বৈঠক করছিলেন। কিন্তু ব্যাপারটা সম্পূর্ণ কাকতালীয় বলে ঘোষণা করেছিলেন তিনি।
এরপর নিজের অঞ্চলের দলীয় কর্মসূচিতে আমন্ত্রণপত্র না পাওয়ায় জিতেন্দ্র তিওয়ারি প্রতিক্রিয়া দিয়ে বলেছেন, “আমি হঠাৎ করে দল ছেড়ে দেবো বলে সবার মনে এক অনাস্থার পরিবেশ সৃষ্টি করেছি। ব্যাপারটা কাটিয়ে উঠতে একটু সময় লাগবে। আমি এখন দলের হয়ে কয়েকটি কর্মসূচির আয়োজন করতে চাই। সবার আমার ওপর আগের মত আস্থা ফিরে আসা উচিত। আস্থা ফিরলে আমন্ত্রণপত্রতে আমার নামও থাকবে।”