প্রাক্তন পরিবহন মন্ত্রী যখন গেরুয়া শিবিরে প্রবেশ করেছিলেন, তখন দমদমের তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়ের (Sougata Roy) মুখে শোনা গিয়েছিল,” ও মনস্থির করেই রেখেছিল। ওদের সাথে কি ডিল হয়েছে আমরা জানিনা।”শুক্রবার বছরের প্রথম দিনে কাথির যোগদান মেলাতে ভাই সৌমেন্দু অধিকারীকে (Soumendu Adhikari) বিজেপিতে যোগদান করালেন শুভেন্দু অধিকারী। তার পরই তার মুখে শোনা গেল বাক্যবাণ। তিনি বললেন,”তোলাবাজ ভাইপোর জ্যাঠামশাই বলেছিলেন, বিজেপির সাথে আমার ডিল হয়েছে।”
এখানেই থামেননি শুভেন্দু। তিনি এই দিন বলেছেন সেই ডিল সম্পর্কেও। এইদিন শুভেন্দু বলেন,” হ্যাঁ ডিল হয়েছে। সেই ডিলে বলা হয়েছে প্রতি বছর স্কুল সার্ভিসের পরীক্ষা হবে, ছেলেমেয়েরা চাকরি পাবে। প্রতি বছর টেট পরীক্ষা নেওয়া হবে। আর এই ২ হাজার ৪ হাজার টাকার না, ঠিকা কাজের বদলে দেওয়া হবে সরকারি ভদ্রস্থ চাকরি। সাথে দেওয়া হবে ভদ্রস্থ মাইনে।”
প্রয়াত প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায় এর সাথে বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীর(Suvendu Adhikari) যে আস্থার সম্পর্ক ছিল তার স্পষ্ট ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে প্রণববাবুর আত্মজীবনীতে। ডরমিটরি মাঠের সেই মঞ্চে দাঁড়িয়ে এইদিন শুভেন্দু বলেন,”প্রয়াত প্রণব মুখোপাধ্যায় (Pranab Mukherjee) ছিলেন আমার গুরুদেব। ২০০৯ সালে মহিষাদলে এসে তিনি বলেছিলেন, আমি সতীশ দা, সুশীল দার জায়গায় শুভেন্দুকে দিচ্ছি। সে মাটিতে পা দিয়ে রাজনীতি করে। শুভেন্দু মানুষের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করবেনা।”
এইদিন তৃণমূলকে পিসি ভাইপোর পার্টি বলে তীব্র সমালোচনা করেন শুভেন্দু অধিকারী। তার সাথে তিনি বলেন, তোলাবাজ ভাইপো বলেছিলেন অর্জুন সিংহ জিতলে রাজনীতি ছেড়ে দেবেন। তাহলে এখনও ছাড়েননি কেন? অন্যদিকে শুভেন্দুর ঘনিষ্ঠ সূত্র হতে জানা গিয়েছে যে হয়তো এখনই দাদার পথে হাঁটতেন না সৌমেন্দু। হয়তো তা করতেন তিনি কিছুদিন পরে। কিন্তু শাসক শিবির থেকে তাকে সরিয়ে দেওয়ার ফলে অনিবার্য হয়ে ওঠে বিজেপিতে যোগদান করা। এইদিন শুভেন্দু বলেছেন, তিনি কাল তথা শনিবার সভা করবেন। সেখানে আবার চলবে যোগদান পর্ব।