আজ অর্থাৎ বুধবার হঠাৎই রাজভবনে উপস্থিত হলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। তিনি এদিন রাজভবনে রাজ্যের রাজ্যপাল জগদীপ ধনকরের (Jagdeep Dhankar) সাথে বৈঠক করেছেন। হঠাৎ করে রাজ্যপালের সাথে মমতার এই বৈঠক রাজনৈতিক মহলে নতুন জল্পনা-কল্পনার সৃষ্টি করেছে। রাজ্য রাজ্যপালের মধ্যে সংঘাত আবহে এমন আচমকা বৈঠক রাজনৈতিকভাবে বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করেছেন অনেকেই। কিন্তু সেই সমস্ত জল্পনায় জল ঢেলেছে নবান্ন। নবান্ন সূত্রে জানানো হয়েছে, তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজ্যপাল জগদীপ ধনকরের সাথে বৈঠক নিতান্ত সৌজন্য সাক্ষাৎ।
আজ বুধবার বিকেল ৫ টা নাগাদ হঠাৎই রাজভবন উপস্থিত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতার রাজভবনে পৌঁছানোর আগেই এলাকাজুড়ে বেড়ে যায় পুলিশি তৎপরতা। অবশ্য আজকেই রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর কোলাঘাটের সাংবাদিক বৈঠকে রাজ্য সরকার ও মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে একাধিক ইস্যুতে গলায় সুর তুলেছিলেন। ধনকর আজ সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, মুখ্যমন্ত্রী সংবিধান মেনে কাজ করছে না। অরাজকতার রাজনীতি চলছে রাজ্যে। এছাড়াও এদিন রাজ্যপাল রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে বহিরাগত ইস্যু, আমফান ত্রান দুর্নীতি, করোনা মোকাবিলায় ইত্যাদি বিষয় নিয়ে আক্রমণ হেনেছেন।
এছাড়াও রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর একাধিকবার টুইট করে মমতা সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন। তিনি রাজ্য পুলিশকে মমতার দলদাস বলেও আখ্যা করেছেন। তিনি বলেছেন, “রাজ্যজুড়ে চলছে রাজ্য প্রশাসন ও পুলিশের জুলুম। ওরা দলীয় নেত্রীর কথা শুনে কাজ করছে।” অবশ্য রাজ্যপালের বারংবার টুইট হামলার জবাব দিয়েছে রাজ্য সরকার। রাজ্য সরকারের তরফ থেকে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর এর প্রত্যাহারের দাবি সম্মিলিত একটি স্মারকলিপি জমা দেওয়া হয়েছে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের কাছে। তৃণমূল কংগ্রেসের অভিযোগ, রাজ্যপাল বারংবার সাংবিধানিক সীমারেখা লংঘন করে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন। এইজন্যই রাজ্যপালের অপসারণ চায় শাসকদল।
আজকে আচমকা রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাতের মাঝে মমতার রাজভবনে উপস্থিত হওয়াকে নয়া রাজনৈতিক সমীকরণ হিসাবে ধরেছিল বাংলার রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। তবে সেই সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়েছে নবান্ন। মমতা আজ সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গিয়েছিলে জগদীপ ধনকর এর সাথে। প্রসঙ্গত এর আগেও ২০১৯ সালে মমতার কালীঘাটের বাড়িতে কালীপুজোতে রাজ্যপালকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল মুখ্যমন্ত্রী।