একুশে নির্বাচনের আগে দলবদল বঙ্গ রাজনীতিতে মুখ্য আলোচনার বিষয়। তৃণমূল ছেড়ে একাধিক নেতাকর্মী বিজেপিতে যোগদান করছেন। সবার মধ্যে প্রথম এই কাজ শুরু করেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikary)। শুভেন্দু অধিকারীর বিজেপিতে যোগদান করার পর থেকেই একের পর এক তৃণমূল নেতারা বিজেপিতে গিয়ে যোগদান করছে। এবার দলের বিরুদ্ধে গলায় সুর তুলে দল বেসুরোর দলে নাম লিখিয়েছেন তৃণমূল বিধায়ক প্রবীর ঘোষাল (Prabir Ghoshal)। কিছুদিন ধরেই তার রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে বঙ্গ রাজনীতিতে চলছে প্রবল চাপানউতোর।
আজ অর্থাৎ বুধবার চন্দননগরের রোড শো থেকে সদ্য বিজেপিতে যোগ দেওয়া শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূল বেসুরো প্রবীর ঘোষাল কে বার্তা দিয়ে বলেছেন,” যা করার মুখ না খুলে সিদ্ধান্ত নিন। আপনার হাতে সিদ্ধান্ত আছে আপনি কোম্পানি কর্মচারী হয়ে থাকবেন নাকি রাজনৈতিক সহকর্মী হিসেবে থাকবেন।” এছাড়াও শুভেন্দু অধিকারী এদিন প্রধানমন্ত্রীর ভূয়শী প্রশংসা করে বলেছেন, “ভারত বিরোধী শক্তিকে যদি কেউ দমন করে থাকেন তাহলে তার নাম নরেন্দ্র মোদি। বিজেপি কর্মী হিসেবে আজ আমি বলছি না। বলছি আমি একজন ভারতবাসী হিসেবে। এমন শক্তিশালী প্রধানমন্ত্রী দেশ আগে দেখিনি।”
কিছুদিন আগে থাকতেই দলের সাংগঠনিক রদবদল সহ বিভিন্ন ইস্যুতে শাসকদলের বিরুদ্ধে গলায় সুর তুলতে দেখা গিয়েছে হুগলি উত্তরপাড়া বিধায়ক প্রবীর ঘোষালকে। তিনি কিছুদিন আগেই বিস্ফোরক অভিযোগ করে বলেছিলেন, “আমাকে ভোটে হারানোর জন্য রাস্তা সারানো হচ্ছে না।” অবশ্য কানাইপুর পঞ্চায়েতের প্রধান প্রবীর ঘোষালকে ছেড়ে কথা বলেনি। তিনি পাল্টা জবাব দিয়ে বলেছিলেন, “বিধায়ক এলাকার কোন কাজ করেননি। যার শুধুমাত্র দলের গহনার মতো বসে আছে।” এই ঘটনার পর থেকেই প্রবীর ঘোষালের সাথে শাসকদলের সম্পর্ক ক্রমশ তিক্ত হচ্ছে। এরইমধ্যে আজকে হুগলির চন্দননগরের সভা থেকে অর্জুন সিং, স্বপন দাশগুপ্ত, বিজেপি নেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায় রোড শো করে একপ্রকার প্রবীর ঘোষালকে গেরুয়া শিবিরে যোগদান করার জন্য বার্তা দিয়েছেন।