অবস্থান কি জানতে চেয়ে কোচবিহার দক্ষিণের বিধায়ক তথা সম্প্রতি তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যোগদান করা মিহির গোস্বামী কে চিঠি দিয়েছেন তৃণমূলের মহাসচিব তথা শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। আগামী সাত দিনের মধ্যে তাকে জবাব দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷ আর এর পাল্টা পার্থ চট্টোপাধ্যায় কে চিঠি দিয়ে নৈতিকতার প্রশ্ন তুলেছেন বিজেপি নেতা মিহির গোস্বামী। তাতে তিনি প্রশ্ন করেছেন, বাম-কংগ্রেস ছেড়ে শাসক শিবিরে যোগ দিয়েছেন ১৯ জন বিধায়ক। তাদের বিষয়ে কি সিদ্ধান্ত নিয়েছে শাসক শিবির?
শাসক শিবির ছেড়ে গেরুয়া শিবিরে যাওয়া ১২ জন বিধায়ককে ৬ জানুয়ারি শোকজের নোটিশ ধরিয়েছে শাসক শিবির। তাদের মাঝে রয়েছে মিহির গোস্বামীর নাম ও। সেই চিঠিতে বিধানসভায় তৃণমূলের পরিষদীয় দলের ডেপুটি লিডার তথা তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chaterjee) লিখেছেন, “আপনি তৃণমূলের টিকিটে নির্বাচিত হওয়া বিধায়ক। কিন্তু সাম্প্রতিককালে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম ও সোশ্যাল মিডিয়ায় করা মন্তব্যের জেরে আপনি দলের সঙ্গে রয়েছেন কিনা তা নিয়ে সন্দেহ দানা বেঁধেছে। এই চিঠি পাওয়ার সাত দিনের মধ্যে আপনাকে নিজের অবস্থান জানানোর অনুরোধ করা হচ্ছে।” উত্তর দিয়েছেন মিহির। বলা বাহুল্য, কেবল মিহির গোস্বামী ছাড়া কেউই পাল্টা জবাব পাঠাননি তৃণমূল নেতৃত্বের কাছে।
আগের বছরের শেষের দিকে দল থেকেই শাসক শিবিরের বিরুদ্ধে বেসুরো গাইতে থেকেছেন মিহির গোস্বামী। ৩ রা অক্টোবর শাসক শিবিরের সমস্ত সাংগঠনিক পদ থেকে ইস্তফা দেন মিহির গোস্বামী। এর পর ২৭ এ নভেম্বর দলের সদস্য পদ থেকে ইস্তফা দেন তিনি। সেই দিনই বিজেপিতে যোগদেন মিহির বাবু। এমন অবস্থায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের চিঠি নিয়ে রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে বিতর্ক। চিঠির পাল্টা চিঠি পাঠিয়েছেন বিধায়ক৷
চিঠিতে বাম- কংগ্রেস থেকে শাসক শিবিরে যোগদান করা ১৯ জনের নাম লিখে মিহির বাবু (Mihiir Goswami) লেখেন, তাদের পুরনো দলের পক্ষ থেকেও বিধায়ক পদ থাকা নিয়ে আপত্তি জানিয়ে বিধানসভার স্পিকারের কাছে চিঠি দেওয়া হয়েছে। যাঁর নিষ্পত্তি করা হয়নি। দল পরিবর্তন করেও তাঁরা সকলে বিধায়ক পদে বহাল তবিয়তে রয়েছেন।