রামচন্দ্র কে অপমান করা যদি কোন দোষের কাজ হয় তাহলে হরিচাঁদ ঠাকুরের নাম ভুল বলাও কিন্তু অপমানজনক কাজ। আজ এই ভাষাতেই নাটক ব্যক্তিত্বদের তৃণমূলে যোগদান এর বিষয়ে খোঁচা দিলেন তৃণমূল নেতা ব্রাত্য বসু (Bratya Basu)। ব্রাত্য বসু জানালেন,”অমিত শাহ (Amit Shah) শুনেছি নাকি ঠাকুরনগরে যাবেন। আমি মতুয়া ভাইদের অনুরোধ করছি। নেতাজি জন্মজয়ন্তীতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এসে মতুয়া ভাইদের আরাধ্য দেবতা শ্রী শ্রী হরিচাঁদ ঠাকুর কে হরিশচন্দ্র ঠাকুর বলে উল্লেখ করেছেন। তার জন্য আমার অনুরোধ, মধুয়া ভাইরা যেন একবার অমিত সাহকে কালো পতাকা দেখান।”
এছাড়াও সাংবাদিক সম্মেলনে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেছেন শেখর সমাদ্দার (Sekhar Samaddar), গৌতম মুখোপাধ্যায়, বিজয় মুখোপাধ্যায়, এবং অনীশ ঘোষের মতো একাধিক নাট্যব্যক্তিত্ব। ব্রাত্য বসুর পাশাপাশি এদিন সাংবাদিক বৈঠকে দেখা গেল অর্পিতা ঘোষকে (Arpita Ghosh)। তাকে পাশে রেখে ব্রাত্য বসু জানিয়েছেন, মুম্বাইয়ের গায়ককে বিজেপি যোগদান করাতে পারে। কিছু ফিল্মস্টার বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন। তবে বাংলা প্রখ্যাত নাট্যব্যক্তিত্ব দের হাতে গেরুয়া পতাকা কোনদিন উঠবে না। শুধু কলকাতাকেন্দ্রিক নাট্যকর্মীরা নন, জেলায় জেলায় সর্বস্তরে নাট্যজগতের মানুষেরা তৃণমূলে যোগ দেবে বলে তিনি জানিয়েছেন।
এছাড়াও এদিন তিনি প্রধানমন্ত্রী কিষান প্রকল্প নিয়ে রাজ্যপালকে খোঁচা দিয়েছেন। তিনি বললেন,” রাজ্যপাল যদি দয়া করে সিংঘু বর্ডারে যারা বসে আছেন তাদের জন্য কোন প্রকল্প ঘোষণা করেন তাহলে ভালো হয়। পশ্চিমবঙ্গ নিয়ে ওকে ভাবতে হবে না।” সংসদে রাষ্ট্রপতি ভাষণ নিয়ে মন্তব্য করলেন তৃণমূল নেতা। ব্রাত্য বসু বললেন,” ভাষণে গণতন্ত্র বাঁচানোর কথা বলা হচ্ছে আর কৃষকদের বাঁচানোর জন্য কথা বলা হচ্ছে না। কৃষকরা না বাচলে গণতন্ত্র টিকবে কিভাবে?