আর কোনও জল্পনা না। গেরুয়া শিবিরেই যাচ্ছেন বিধায়ক দীপক হালদার (Dipak Halder)। আগামীকালই গেরুয়া শিবিরে যোগ দিচ্ছেন বিধায়ক। মঙ্গলবার বারুইপুরে যৌথ সভা করবেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। তাদের উপস্থিতিতেই বারুইপুরের সভায় গেরুয়া শিবিরে যোগ দিতে চলেছেন বিধায়ক দীপক হালদার। উল্লেখ্য, আজই শাসক শিবিরে ছাড়ার কথা ঘোষণা করেন বিধায়ক। পিক পোস্টে শাসক শিবিরের ভবন অর্থাৎ তৃণমূল ভবন থেকে এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা সভাপতি শুভাশিস চক্রবর্তীর বাড়ির ঠিকানায় দলত্যাগের চিঠি পাঠিয়ে দিয়েছেন তিনি।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বেশ কয়েকদিন ‘বেসুরো ‘ ছিলেন শাসক শিবিরের বিধায়ক। আগের কিছু দিন ধরেই দলীয় কোনও কর্মসূচিতে দেখা যায়নি দীপক হালদারকে। কুলতলি থেকে ডায়মন্ডহারবার, সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কোনও জনসভায় উপস্থিত থাকতে দেখা যায়নি বিধায়ককে। তার অনুপস্থিতি নজরে পড়েছে সকলের। সভায় অনুপস্থিৎ থাকার বিষয়ে জিজ্ঞেস করা হলে, তিনি দোপ দেগেছিলেন,’হোয়াটস অ্যাপে দায় সারা ভাবে আমন্ত্রণ’ তাকে জানানো হয়েছিল। একই সাথে দলে পিকে টিমের ভূমিকা নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেন নেতা। তিনি আরও বলেন, ১৯৮৪ সাল থেকে রাজনীতি করলেও গত ৪ বছর ধরে নিষ্ক্রিয় রাখা হয়েছে তাকে।
‘বেসুরো’ বিধায়কের কথার সূত্র ধরেই জল্পনা ছড়ায় যে এবার হয়তো শাসক শিবির ছাড়তে চলেছেন দীপক হালদারও। ঘাসফুল ছেড়ে তিনিও হয়তো এবার পদ্মফুলে নাম লেখাচ্ছেন! অবশেষে সেই জল্পনা-ই সত্যি হল। আজই ঘাসফুল শিবির ত্যাগ করার কথা জানান ডায়মন্ডহারবার বিধায়ক। আর তারপরই তাঁর বিজেপিতে যোগদানের ঘোষণা। প্রসঙ্গত, রবিবারই হাওড়ার ডুমুরজলা স্টেডিয়ামে বিজেপির মেগা যোগদান মেলা থেকে শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) হুঁশিয়ারি দেন, “২ ফেব্রুয়ারি থেকে ২০ ফেব্রুয়ারির মধ্যে কলকাতা আর দক্ষিণ ২৪ পরগণা আরও ফাঁকা করব।” আর পরদিনই দলত্যাগ করলেন বিধায়ক দীপক হালদার । এবার শুভেন্দু-রাজীবের হাত ধরে তিনিও বিজেপিতে।