রাজ্যসভা থেকে কৃষকদের আন্দোলন প্রত্যাহার করার বার্তা প্রধানমন্ত্রীর, তৃণমূলকে কটাক্ষ মোদির
নয়াদিল্লি: গতকাল, রবিবার (Sunday) হলদিয়ায় (Haldia) পেট্রোলিয়ামমন্ত্রকের একটি অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। সেখানে তিনি একাধিক প্রকল্পের শিলান্যাস ও উদ্বোধন করেন। তারপর উত্তরাখণ্ডে (Uttarakhand) বিপর্যয়ের ব্যাপারেও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। আর আজ, সোমবার (Monday) রাজ্যসভায় বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে তিনি নাম না করে যেমন তৃণমূল-কংগ্রেসকে (TMC) কটাক্ষ করেছেন, তেমন আন্দোলনরত কৃষকদের (Farmers) আন্দোলন প্রত্যাহার করার বার্তা দিয়েছেন।
এদিন তিনি রাজ্যসভায় কৃষক আন্দোলন নিয়ে বলতে গিয়ে বলেন, ‘কৃষক আন্দোলন নিয়ে অনেক কথা বলা হচ্ছে। কিন্তু কৃষিমন্ত্রীর জবাব কেউ দিচ্ছে না। দেশে ৩০ শতাংশ কৃষকের কাছে জমি দুই বিঘের কম। ১৮ শতাংশ কৃষকের কাছে দুই থেকে চার বিঘা জমি রয়েছে। আজ দেশের ছোট কৃষকদের সংখ্যা ৬৮ শতাংশ। ৮৬ শতাংশ কৃষকের জমি দুই হেক্টরের কম। এমন কৃষকের সংখ্যা দেশ জুড়ে ১২ কোটির বেশি। এই ক্ষুদ্র কৃষকের কথা আমাদের চিন্তা করতে হবে। ক্ষুদ্র কৃষকরা ঋণ মকুবের সুযোগ পান না। কারণ, তাদের ব্যাঙ্কে কোনও অ্যাকাউন্ট নেই। এমনকি ক্ষুদ্র কৃষকদের সেচের ব্যবস্থাও নেই। বিমার সুবিধাও ক্ষুদ্র কৃষকরা পান না। তবুও ২০১৪ সালের পর ফসল বিমার আওতায় ক্ষুদ্র কৃষকদের আনা হয়েছে। ছোট কৃষকদের কিষান ক্রেডিট কার্ডের ব্যবস্থা করা হয়েছে। কৃষকরা এখন নিজেদের অ্যাকাউন্টে প্রধানমন্ত্রী কিষান যোজনার সুবিধা পাচ্ছে। তাই আন্দোলনরত কৃষকদের কাছে আমার বিনীত আবেদন, আন্দোলন আপনারা প্রত্যাহার করুন। আমরা আলোচনায় বসতে আগ্রহী।’
এরপরই রাজ্যসভা থেকে নজিরবিহীনভাবে তৃণমূল-কংগ্রেসকে কটাক্ষ করেছেন মোদি। তিনি বলেছেন, ‘বাংলায় রাজনীতি না হলে বাংলার কৃষকরাও এই সুবিধা পেতেন। ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের জন্য পেনশনের ব্যবস্থাও করা হয়েছে। গণতন্ত্র নিয়ে বিরোধীরা যা বলেছেন, মানুষ তা বিশ্বাস করে না। ভারত বিশ্বের সব থেকে বড় গণতন্ত্র নয়, ভারত গণতন্ত্রের জননী। ভারতকে গণতন্ত্রের পথ দেখিয়েছিলেন নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু। বর্তমান প্রজন্মের যুবসমাজকে নেতাজির পাঠ দেওয়া প্রয়োজন।’ এভাবেই কার্যত রাজ্যের শাসক দলকে কটাক্ষ করেছেন প্রধানমন্ত্রী।