নিউজরাজ্য

হুগলিতে উত্তেজনা অব্যাহত, গোষ্ঠী কোন্দলের ফলে ভাঙচুর চলেছে তৃণমূলের দলীয় দফতরেই

Advertisement

আবারও প্রকাশ্যে তৃণমূলের (TMC) গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। এবার ঘটনাস্থল হুগলির (Hooghly) খানাকুল। ঘটনায় ভাঙচুর চালানো হয় দলীয় দফতরেই। ভাঙচুরের ঘটনার প্রতিবাদে পালটা মিছিল অপর গোষ্ঠীর। যদিও যে নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ তিনি অবশ্য এই নিয়ে মুখ খুলতে চাননি। নির্বাচনের (Election) আগে এই ঘটনায় ফের একবার অস্বস্তিতে হুগলি জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব।

খানাকুল (Khanakul) ১ ব্লকের তৃণমূল (TMC) কংগ্রেসের ব্লক সভাপতি ইলিয়াস চৌধুরীর বিরুদ্ধে দলীয় কার্যালয় ভাংচুর ও লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ তুলেছেন তৃণমূল পরিচালিত ঘোষপুর গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান সেখ হায়দার। অভিযোগ, খানাকুল ১ নম্বর ব্লকের তৃণমূল সভাপতি ইলিয়াস চৌধুরী হঠাৎই ১০ – ১২ জন লোক নিয়ে ঘোষপুর হাটতলায় দলীয় কার্যালয়ে ঢুকে ভাঙচুর ও লুটপাট চালান। বিষয়টি জানতে পেরে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছান শেখ হায়দার। এরপর শেখ হায়দার ও হুগলি জেলা তৃণমূলছাত্র পরিষদের (TMCP) সদস্যরা দীর্ঘক্ষন ঘেরাও করে রাখেন ওই দলীয় দফতরটি। যার জেরে উত্তেজনা ছড়ায় এলাকা।

দলীয় দফতরে ভাঙচুরের প্রতিবাদে এলাকায় মিছিল বের করেন শেখ হায়দার ও তাঁর লোকজন। হায়দারের অভিযোগ, এই ধরনের কাজ করে জনমানসে দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করছেন ব্লক সভাপতি ইলিয়াস চৌধুরী। যদিও এই বিষয়ে কিছু বলতে চাননি ইলিয়াস। এদিকে খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ। এলাকায় যাতে নতুন করে উত্তেজনা না ছড়ায় সেদিকে নজর রাখছেন পুলিশ আধিকারিকরা।

প্রসঙ্গত হুগলিতে তৃণমূলের অন্তর্কলহ এই প্রথম নয়। মাস খানেক আগে হুগলির বলাগড়ে তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে বিক্ষোভসামিল হন দলেরই সদস্যরা। ওই প্রধান ব্যাপক দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত বলে অভিযোগ তুলে বিক্ষোভে বসেন পঞ্চায়েতের অন্যান্য তৃণমূল সদস্যরা।

সামনেই নির্বাচন। বারেবারেই দলের কর্মী সমর্থকদের একসঙ্গে লড়াইয়ের বার্তা দিচ্ছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দলের অন্দরে একতা বজায় রাখতে তৎপর তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বও। তারপরেও বিভিন্ন সময় হুগলি সহ অন্যান্য জায়গা থেকে উঠে আসছে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলের খবর। সেক্ষেত্রে ভোটের আগে এই ধরণের ঘটনা যে তৃণমূলের মাথাব্যাথা বাড়াচ্ছে তা বলাই বাহুল্য।

Related Articles

Back to top button