রাজনীতি ছাড়তে চান চিরঞ্জিত, মমতার সম্মতির অপেক্ষা
কলকাত; নেতা (Polititian) থেকে অভিনেতা (Actor) হওয়া এখন প্রচলিত ট্যাকটিস। তবে একাধিকবার প্রশ্ন উঠেছে, দুইদিক কতটা সামলাচ্ছেন একজন মানুষ। নেতা আর অভিনেতা সত্বা সামলাতে গিয়ে কোনদিকে সাথে কম্প্রোমাইজ (Comprimise) করছেন না তো? এসব প্রশ্নের মধ্যেই একাধিকবার একাধিক অভিনেতা নেতা হয়ে উঠেছেন। তেমনই একজন চিরঞ্জিত চক্রবর্তী (Chiranjit Chakrabarty)। রাজনীতি (Pooitics) ছাড়তে চেয়ে মমতার (Mamata) সিলমোহরের অপেক্ষায় রয়েছেন তিনি।
অভিনেতারা রাজনীতিতে এসে কেউ কেউ সামলেছেন দুদিক। কেউ কেউ বেছে নিয়েছেন কোনো একটি দিককে। তবে ভোটের মুখে বাংলার অভিনেতারা কেউ কেউ নতুন ভাবে নেতা হওয়ার পথে হাতেখড়ি দিচ্ছেন। কেউ কেউ দলবদল করছেন। আবার কেউ কেউ চাইছেন অব্যাহতি। ফের ফিরে যেতে চাইছেন নিজেদের পুরনো জীবনে। নির্বাচনের আগের গোটা রাজ্যের নেতা নেত্রীদের দলবদল, বিতর্ক সব যে ভালো প্রভাব ফেলেছে টলিউডে তা বলার অপেক্ষা রাখেনা।
এতদিন টেলিভিশনের ছোট পর্দার ঝাঁক ঝাঁক জনপ্রিয় মুখ কেউ কেউ যোগ দিলেন তৃণমূলে, তো কেউ বিজেপিতে। ইতিমধ্যেই জল্পনা উঠেছে যশ দাশগুপ্তর বিজেপি যোগ নিয়ে। জল্পনা উঠেছে প্রসেনজিৎ এবং মিঠুনের বাড়িতে বিজেপি RSS নেতাদের সাক্ষাতে বিজেপি যোগ নিয়ে । এসবের মধ্যেই রাজনীতি থেকে অব্যাহতি চাইছেন টলিউডের অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেতা চিরঞ্জিত। এক সংবাদমাধ্যমকে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে চিরঞ্জিত জানিয়েছেন এবার অব্যাহতি চান রাজনীতি থেকে।
তবে এর পিছনে রাজ্যের ভালো করতে চেয়ে কোনো দলে যোগ দিচ্ছেন না তিনি। সবকিছুর বাইরে গিয়ে সাধারন মানুষের জীবন যাপন করতে চান। কোনোদিনই রাজনীতিতে সেরকম যোগাযোগ ছিলনা। প্রথম থেকে সিনেমার অভিনেতা হয়েই ছিলেন চিরঞ্জিত। তবে তিনি বিভিন্ন আখে সমর্থন করতেন মমতাকে। প্রশংসা করতেন তাঁর আদর্শের এবং সিদ্ধান্তের। সেই থেকে প্রচার করেছিলেন তৃণমূলের হয়ে। শুরু সেখান থেকেই। তবে সরাসরি রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হতে চাননি কখনোই।
তবু দলের কোথায় শেষ পর্যন্ত রাজি হন নির্বাচন লড়তে। ২০১১ নির্বাচনে বারাসাত থেকে তৃণমূলের হয়ে ভোটে লড়েছিলেন চিরঞ্জিত। দ্বিতীয় দফার ভোটে লড়ার আগেই সরে দাঁড়াতে চেয়েছিলেন। কিন্তু পরিস্থিতি সায় দেয়নি। তারপর থেকে এখনো বারাসাতের বিধায়ক তিনি। তবে এই মুহূর্তে বাংলায় যে রাজনীতি চলছে তাতে আর রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত থাকতে চাননি বছর ৬৫ এর এই বর্ষীয়ান অভিনেতা। তিনি এবার এসব কাদা ছোড়াছুড়ি বাইরে গিয়ে বাকি জীবন কাটাতে চান বলেই জানিয়েছেন। এবার অপেক্ষা তাঁর এই ভাবনায় মুখ্যমন্ত্রীর সিলমোহরের। তবে স্বাভাবিক ভাবেই দলবদলের এই পরিস্থিতিতে অনেকেই সূত্র খুঁজছেন চিরঞ্জিত বিজেপি যোগের। বাকি সবকিছুই এখন সময়ের হাতে।