আজকেই নন্দীগ্রাম আসনের জন্য মনোনয়ন পেশ মমতার, সকালে পুজো দিলেন মন্দিরে

প্রার্থী তালিকা ঘোষণার পর থেকেই বোঝা যাচ্ছিল এবারের নির্বাচনে সবথেকে হাই ভোল্টেজ কেন্দ্র হতে চলেছে নন্দীগ্রাম। নন্দীগ্রামে একদিকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অন্যদিকে আবার বিজেপির হয়ে শুভেন্দু অধিকারী। দুই হেভিওয়েট নেতা…

Avatar

By

প্রার্থী তালিকা ঘোষণার পর থেকেই বোঝা যাচ্ছিল এবারের নির্বাচনে সবথেকে হাই ভোল্টেজ কেন্দ্র হতে চলেছে নন্দীগ্রাম। নন্দীগ্রামে একদিকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অন্যদিকে আবার বিজেপির হয়ে শুভেন্দু অধিকারী। দুই হেভিওয়েট নেতা লড়াইয়ে এবারে নন্দীগ্রাম হতে চলেছে বিধানসভা নির্বাচনে সকলের পাখির চোখ। অন্যদিকে, বামেরাও জানিয়ে দিয়েছে নন্দীগ্রাম আসনে তারা নিজেরা প্রার্থী দিতে চলেছে। তাই সবদিক থেকেই নন্দীগ্রাম কেন্দ্রটি এবারে হতে চলেছে অত্যন্ত হাই প্রোফাইল।

আজকে নন্দীগ্রাম কেন্দ্রের জন্য তৃণমূল প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জমা দেবেন তার মনোনয়নপত্র। সকাল থেকেই তিনি নন্দীগ্রামের বাজার এবং বেশ কিছু মন্দির ঘুরে দেখছেন। সূত্রের খবর তিনি একটি রাস্তার দোকানে চা বানিয়েছেন।  তৃণমূল সূত্রের খবর, বেলা ১২ টা নাগাদ প্রথমে নন্দীগ্রাম শিব মন্দিরে পুজো দিয়ে তারপর হলদিয়া যাবেন তিনি। এরপর দুপুর সাড়ে ৩ টে নাগাদ তিনি মহকুমা শাসকের কাছে তার মনোনয়নপত্র জমা দিতে চলেছেন। অন্যদিকে, নন্দীগ্রামে আজকে একটি দলীয় কার্যালয় উদ্বোধন হতে চলেছে।

নন্দীগ্রাম বাসস্ট্যান্ড এলাকায় দলীয় কার্যালয় উদ্বোধন করবেন বিজেপি প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারী। এরপর নন্দীগ্রামে রোড শো করার কথা আছে তার। একদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জমা দেবেন তার মনোনয়নপত্র। অন্যদিকে শুভেন্দু অধিকারী করবেন রোড শো। ঘটনাচক্রে একই দিনে দুই হেভিওয়েট প্রার্থী উপস্থিত থাকবেন একই জায়গায়। ফলে আজকে অভিযোগ এবং পাল্টা অভিযোগের পালা চলবে নন্দীগ্রামে।

যদিও এখনও পর্যন্ত সংযুক্ত মোর্চার তরফে কোন প্রার্থী ঘোষণা করা হয়নি। তবে সূত্রের খবর আজকে সংযুক্ত মোর্চা নিজেদের প্রার্থী ঘোষণা করবেন নন্দীগ্রাম আসনের জন্য। তার সাথেই, জানিয়ে রাখা ভাল আগামী শুক্রবার অর্থাৎ ১২ মার্চ তারিখে নন্দীগ্রাম আসনের জন্য মনোনয়নপত্র জমা দেবেন বিজেপি প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারী। তারপর মিঠুন চক্রবর্তী কে সঙ্গে নিয়ে একেবারে ফাটাকেষ্ট স্টাইলে শুরু করবেন নির্বাচনের প্রচার। প্রসঙ্গত, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গতকাল নন্দীগ্রামে একটি জনসভা করেছিলেন। সেখানে তিনি নিজের চিরাচরিত ছন্দে নন্দীগ্রামের মানুষদের কাছে বললেন, “ভুলতে পারি নিজের নাম, ভুলবো নাকো নন্দীগ্রাম।”