বড় খবর! গ্রিন করিডোর করে কলকাতা এসএসকেএমে আনা হচ্ছে আহত মুখ্যমন্ত্রীকে
নন্দীগ্রামের বিরুলিয়া মন্দির থেকে বেরোনোর পর মুখ্যমন্ত্রীকে চার-পাঁচজন ধাক্কা দিয়েছে এবং তাতে মুখ্যমন্ত্রীর গুরুতর চোট লেগেছে
একুশে বিধানসভা নির্বাচন দোড়গোড়ায় এসে উপস্থিত হয়েছে। এই মুহূর্তে রাজ্যের প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দল ও তাদের নেতা মন্ত্রীরা নিজে কেন্দ্রে ভোট প্রচারের উদ্দেশ্যে মন দিয়েছেন। এবারের নির্বাচনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নন্দীগ্রাম কেন্দ্র থেকে ভোট যুদ্ধে অবতীর্ণ হবেন বলে জানিয়ে দিয়েছেন। ইতিমধ্যে তিনি তার মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। তারপর নির্বাচনী প্রচারের উদ্দেশ্যে আজ নন্দীগ্রামে উপস্থিত ছিলেন তিনি। তবে প্রচারে গিয়ে ঘটেছে বিপত্তি। জেড প্লাস ক্যাটাগরি নিরাপত্তা পাওয়া সত্ত্বেও চার পাঁচজন তাকে ধাক্কা দেয়। ধাক্কার জেরে গাড়ির দরজায় সজোরে ঠুকে যায় মুখ্যমন্ত্রীর পা।
মুখ্যমন্ত্রী আঘাত পাওয়ার পর থেকে রীতিমতো যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন। তাকে রীতিমতো পাঁজাকোলা করে গাড়িতে তুলেছিল তার নিরাপত্তারক্ষীরা। তারপর তাকে প্রথমে নন্দীগ্রামের ভাড়া বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। তবে রাস্তার মাঝে মুখ্যমন্ত্রী যন্ত্রণায় ছটফট করায় তাকে রাস্তায় দাঁড় করিয়ে মুখে হাতে জল দেওয়া হয়। এরপর তার অবস্থা দেখে তাকে কলকাতায় নিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। গ্রিন করিডোর করে কলকাতা এসএসকেএমে আসছেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর পা ভেঙেছে নাকি সেই সন্দেহে তাকে সরাসরি এসএসকেএম অর্থোপেডিক ডিপার্টমেন্টে আনা হবে।
মুখ্যমন্ত্রীর ওপর হামলা হয়েছে এবং সমস্ত ঘটনা ইচ্ছাকৃত বলে দাবি করেছেন খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি অভিযোগ জানিয়েছেন যে তার কাছে স্থানীয় কোন পুলিশ ছিলনা। ইচ্ছাকৃত তাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। দলীয় সূত্রে জানা গেছে এরপর এই ঘটনার প্রতিবাদে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, নন্দীগ্রামে তৃণমূল প্রার্থী হয়ে এবার ভোটযুদ্ধে অবতীর্ণ হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অন্যদিকে নন্দীগ্রামের বিজেপির প্রার্থী হয়ে দাঁড়িয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। এই মুহূর্তে মুখ্যমন্ত্রীর নন্দীগ্রামে গিয়ে আঘাত পাওয়া বঙ্গ রাজনীতিতে যে জলঘোলা করবে তা নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই।