একুশে বাংলা বিধানসভা নির্বাচনের দুই দফা ইতিমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে এবং বাকি রয়েছে আর ৬ দফা নির্বাচন। এর মাঝেও তৃণমূল ও বিজেপি নেতারা রাজ্যের প্রান্তে প্রান্তে গিয়ে জনসভা করে তাদের দলকে ভোট দেয়ার অনুরোধ জানাচ্ছে। জনসভায় অভিযোগ ও পাল্টা অভিযোগের লড়াইয়ে সরগরম হয়ে উঠেছে গোটা বঙ্গ রাজনীতি। এই পরিস্থিতিতে গতকাল অর্থাৎ রবিবার পুরশুড়ায় একটি জনসভায় উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জনসভায় উপস্থিত থেকে একদিকে যেমন তৃণমূল কংগ্রেসের কাজের খতিয়ান দিয়েছেন, ঠিক অন্যদিকে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে তার ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন।
গতকাল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জনসভায় উপস্থিত থেকে বলেছেন, “তৃণমূল কংগ্রেসকে ভোট দিলে আরো বেশি কর্মসংস্থান হবে রাজ্যে। হবে উন্নয়ন। হবে আরো কর্মতীর্থ। ডবল ডবল চাকরি পাবে। ডবল ডবল শিক্ষা পাবে। তৈরি হবে হাসপাতাল। এছাড়া স্মল স্কেল ইন্ডাস্ট্রি তৈরি হবে যাতে বাংলার দেড় কোটি বেকার যুবক-যুবতী চাকরি পাবে। এরপর বাংলার বাইরে আর কাউকে চাকরি করতে যেতে হবে না।” এছাড়াও তিনি হুংকার দিয়ে বলেছেন, “তৃণমূল কংগ্রেস জিতলে বিনা পয়সায় রেশন, বিনা পয়সায় শিক্ষা, বিনা পয়সায় চিকিৎসা পাওয়া যাবে। সরকারের পক্ষ থেকে দেয়া হবে কন্যাশ্রী, যুবশ্রী, স্বাস্থ্যসাথী ইত্যাদি প্রকল্প।”
এছাড়াও তিনি এদিন জনসভা থেকে বিজেপি এবং কেন্দ্র সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দেগে বলেছেন, “বিজেপি শুধুই জনসভায় গিয়ে বলছে যে ওরা পরিবর্তন করবে। কোথায় করছে পরিবর্তন? ৬ বছর ধরে তো কেন্দ্র সরকার গড়ে বসে আছে। কোন পরিবর্তন কি হয়েছে দেশের?” এছাড়াও তিনি বলেছেন, “বিজেপির কেন্দ্র সরকার গ্যাসের দাম ৯০০ টাকা করে দিয়েছে। কেরোসিন তেল এখন আর পাওয়া যায় না। তেলের দাম দ্বিগুণ হয়ে গেছে। একদিকে রাজ্য সরকার বিনামূল্যে চাল দিচ্ছে আর অন্যদিকে কেন্দ্র সরকারের ৯০০ টাকার গ্যাসে সেই চাল ফোটাতে হচ্ছে। বিজেপিকে ওই গ্যাসে ফোটাতে হবে। তাহলে ওরা বুঝবে ৯০০ টাকার দাম।”