কয়লা কাণ্ডে বেশ কয়েকদিন ধরেই চর্চায় ছিলেন অনুপ মাঝি ওরফে লালা। এবারে তার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। সোমবার ১১ টা নাগাদ তাকে নিজাম প্যালেসে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছিল এবং সেখানেই জেরার মুখে পড়তে হয় অনুপ মাঝি কে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য বিরোধী নেতারা বারংবার তৃণমূল সরকারকে এই কয়লা কাণ্ড নিয়ে কটাক্ষ করে চলেছেন।
সিবিআই অনুপ মাঝির কাছ থেকে জানতে চায় কোন কোন টাকা কোথায় কোথায় গেছে এবং প্রভাবশালীদের কাছে কয়লা পাচারের কোন কোন টাকা পৌঁছেছে। সিবিআই সূত্রে খবর, জেরায় কোন রকম সহযোগিতা করছেন না অনুপ মাঝি ওরফে লালা। এই কারণে সুপ্রিমকোর্টে তাকে হেফাজতে নেওয়ার আবেদন করা হবে বলে জানাচ্ছে সিবিআই।
ইস্পাত দামোদর লিমিটেড এবং সনিক থার্মাল প্রাইভেট লিমিটেড নামে দুটি কোম্পানি রয়েছে পুরুলিয়া এবং বাকুড়ায় যার মালিকানা রয়েছে অনুপ মাঝির কাছে। জানা যাচ্ছে, এই রুটি কোম্পানির সমস্ত মালিকানা এবং মেশিনারি বাজেয়াপ্ত করেছে ইনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট।
অনুপ মাঝি কে ৬ এপ্রিল পর্যন্ত গ্রেপ্তার করা যাবে বলে নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। অর্থাৎ আগামীকাল পর্যন্ত এই রক্ষাকবচ রয়েছে। তাই শেষ মুহূর্তে তাকে জেরা করার জন্য তৎপর সিবিআই। অন্যদিকে কয়লা পাচারে টাকা লেনদেনের বিষয়টি তদন্ত করছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। গতকাল রবিবার দিল্লিতে বাঁকুড়া থানার আইসি অশোক মিশ্রকে গ্রেফতার করা হয়েছিল।