‘বেশি বাড়াবাড়ি করলে জায়গায় জায়গায় শীতলকুচি হবে’, প্রকাশ্য জনসভায় বিস্ফোরক দিলীপ ঘোষ
চতুর্থ দফার নির্বাচনে শনিবার শীতলকুচি তে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে মৃত্যু হয়েছিল ৪ তৃণমূল কর্মীর। বরানগরের জনসভায় সেই ঘটনা নিয়েই মন্তব্য করলেন দিলীপ
রাজ্য চতুর্থ দফা নির্বাচনে জায়গায় জায়গায় বিক্ষিপ্ত অশান্তির ঘটনা দেখা গেছে। তবে এই চতুর্থ দফা নির্বাচনের সবথেকে চাঞ্চল্যকর ঘটনা হলো কোচবিহারের মাথাভাঙ্গা এলাকার শীতলকুচি এলাকায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর ওপেন ফায়ারিং। কেন্দ্রীয় বাহিনী দাবি করেছিল, সেখানে বহুলোক তাদেরকে ঘিরে মারধর করা শুরু করে এবং তাদের বন্দুক ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। তার জন্য তারা গুলি করতে বাধ্য হয়। কিন্তু এই ঘটনার সত্যতা এখনো পর্যন্ত প্রমাণ করা যায়নি।
এ ঘটনায় ৪ জন তৃণমূল কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। ঘটনাকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার নামকরণ করে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। তিনি ঘোষণা করে দিয়েছেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের চক্রান্তে কেন্দ্রীয় বাহিনী নিরীহ তৃণমূল কর্মীদের হত্যা করেছে। এই ঘটনার অব্যবহিত পরে নড়েচড়ে বসেছে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচন কমিশন ঘোষণা করে দিয়েছে আগামী ৭২ ঘন্টার মধ্যে কোন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব শীতলকুচি তে যেতে পারবেন না। তার মধ্যেই মৃত তৃণমূল কর্মীদের পরিবারের সঙ্গে বৈঠক করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অনলাইন মাধ্যমে।
কিন্তু দিলীপ ঘোষের গলায় একেবারে অন্য সুর। বরানগরে প্রকাশ্য জনসভায় দাঁড়িয়ে দিলীপ ঘোষ বললেন, “যদি বেশি বাড়াবাড়ি করেন তাহলে জায়গায় জায়গায় শীতলকুচি হবে।” এই মন্তব্যের পর এ বিতর্কে ঢেউ উঠেছে রাজ্য রাজনীতিতে। দিলীপ ঘোষ বলেছেন, “সকলে ভোট দিতে যাবেন। কেউ যদি বাধা দেয়, কোনও কথা শুনবেন না। আমরা সব দেখে নেব। মাথায় রাখবেন কেউ বাড়াবাড়ি করলে জায়গায় জায়গায় শীতলকুচি হবে।”
সমস্ত মহল থেকে দিলীপ ঘোষের এই মন্তব্যের কড়া নিন্দা করা হচ্ছে। তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রথমেই এটিকে গণহত্যা বলে চিহ্নিত করেছিলেন। আর এবারে সেই আগুনে ঘি ঢাললেন দিলীপ ঘোষ। দিলীপ ঘোষের এহেন মন্তব্যের পর বিজেপির বিরুদ্ধে একাধিক রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের কটাক্ষ ছুটে আসছে। তৃণমূল মুখপাত্র কুনাল ঘোষ থেকে শুরু করে আরো অনেকেই দিলীপ ঘোষের এই মন্তব্যের তীব্র নিন্দা করেছেন।