একুশে বিধানসভা নির্বাচনের রক্তাক্ত চতুর্থ দফা নির্বাচন নিয়ে সরগরম গোটা বঙ্গ রাজনীতি। আসলে কোচবিহারের শীতলকুচিতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে চারজনের মৃত্যু হওয়ায় সেই ইস্যু নিয়ে চরম চাপানউতোর চলছে। একদিকে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই ঘটনাকে গণহত্যা বলে আখ্যা দিয়েছে, আবার অন্যদিকে বিজেপি ও নির্বাচন কমিশন দাবি করেছে যে কেন্দ্রীয় বাহিনী তাদের আত্মরক্ষার জন্য গুলি চালাতে বাধ্য হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ একটি বিতর্কিত মন্তব্য করে ফের খবরের শিরোনামে এসেছেন।
আসলে শীতলকুচি ঘটনায় যখন বঙ্গ রাজনীতি সরগরম হয়ে রয়েছে ঠিক তখন জনসভায় উপস্থিত থেকে বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, “আগামী ১৭ তারিখ সকালে লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট দিন। বুথে কেন্দ্র বাহিনী থাকবে। কেউ যদি লাল চোখ দেখিয়ে বাড়াবাড়ি করে, তাহলে আবার শীতলকুচি তে দেখেছেন কি হয়েছে। সেখানেও তাই হবে। জায়গায় জায়গায় শীতলকুচি হবে।” এই বক্তব্যের তীব্র সমালোচনা করে তৃণমূল নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, “প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে হাতজোড় করে অনুরোধ করবো আপনাদের মধ্যে যদি নুন্যতম বিবেকবোধ থাকে তাহলে আগামীকাল সাংবাদিক বৈঠক করে তাদের দল থেকে বহিষ্কার করে দেখান। আপনাদের কোনো ইন্ধন নেই প্রমাণ করতে হবে। আর যদি তা না করেন তাহলে আপনার রাজ্য সভাপতির কথায় কিন্তু মানুষ মেনে নেবে।”
এছাড়াও এদিন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় শীতলকুচি ঘটনার তীব্র নিন্দা করে বলেছেন, “তৃণমূল ক্ষমতায় এলে এই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত হবে। এর পিছনে যত বড়ই মাখা থাকুক না কেন তাকে টেনে বার করা হবে। যদি আত্মরক্ষার জন্য মারা হতো তাহলে মৃতদের হাতে বা পায়ে গুলি লাগত বা আকাশে গুলি করা হতো। কিন্তু তাদের সবার বুকে গুলি লেগেছে। আর যাদের থেকে আত্মরক্ষার কথা বলছে কেন্দ্রীয় বাহিনী তাদের হাতে অস্ত্র তো দূরের কথা একটি লাঠিও ছিল না।”