১০ রানে কেকেআরকে হারিয়ে ম্যাচ জিতল মুম্বাই। আজ চেন্নাইয়ের এমএ চিদাম্বরম স্টেডিয়ামে কলকাতা নাইট রাইডার্স ও মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স মাঠে নামে। টসে জিতে বোলিং নেয় কলকাতা। নির্ধারিত ২০ ওভারে সব উইকেট হারিয়ে ১৫২ রান করে মুম্বাই। কাছাকাছি এসেও কেকেআরের হাত থেকে ফসকে যায় ম্যাচ। ২০ ওভারে ১৪২ রান করতে সক্ষম হয় কেকেআর।
মুম্বাইয়ের ওপেনার হিসেবে মাঠে নামেন রোহিত শর্মা ও কুইন্টন ডি কক। ৬ বলে ২ রান করে বরুণ চক্রবর্তীর বলে ক্যাচ দিয়ে আউট হন তিনি। দলের ১০ রানের মাথায় প্রথম উইকেটের পতন ঘটে। রোহিত শর্মা ৩২ বলে ৪৩ রান করে প্যাট কামিন্সের বলে ক্লিন বোল্ড হন। সূর্যকুমার যাদব ৩৬ বলে ৫৬ রানের একটি দুর্দান্ত ইনিংস খেলেছেন। শাকিবের বলে ক্যাচ আউট হয়ে ফিরতে হয় তাঁকে। ঈশান কিষাণ ৩ বলে মাত্র ১ রান সংগ্রহ করেন। হার্দিক ইনিংসের শুরুটা ঠিকঠাক করলেও দলকে বড় রান এনে দিতে ব্যর্থ হন। ১৭ বলে ১৫ করে প্রসিধ কৃষ্ণার বলে ক্যাচ দিয়ে আউট হন। পোলার্ড ৮ বলে ৫, ক্রুনাল ৯ বলে ১৫, জানসেন ০, চাহার ৮ ও বুমরাহ ০ রানে প্যাভিলিয়নে ফেরেন।
কেকেআরের বোলিং আক্রমন মুম্বাইকে আগাগোড়া বিপাকে ফেলে। ১২৫ রানের মধ্যে ৫টি উইকেটের পতন ঘটান প্লেয়াররা। এরপর অল্প সময়ের ব্যাবধানে মুম্বাইয়ের সব উইকেট পরে যায়। শেষ ২ ওভারে মাত্র ১৫ রান দিয়ে ৫টি উইকেট নেন রাসেল। এছাড়া কামিন্স পান ২টি উইকেট। বরুণ, শাকিব ও প্রসিধ ১টি করে উইকেট নেন।
কেকেআরের ওপেনিং জুটি নীতিশ রানা ও শুভমান গিল সফল্ভাবে তাদের ইনিংস শুরু করেন। রানা ৪৭ বলে ৫৭ রান করে রাহুল চাহারের বোলিং এ আউট হন। অন্যদিকে গিল ২৪ বলে ৩৩ রান করেন। এরপর কেকেআরের মিডিল ব্যাটিং অর্ডার একেবারে ধসে পরে। রাহুল ত্রিপাঠী ৫ বলে ৫ রান, অধিনায়ক মরগ্যান ৭ বলে ৭, শাকিব আল হাসান ৯ বলে ৯ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন। এখান থেকে ঘুরে যায় খেলার মোড় শেষ ওভারে বাকি থাকে ১৫ রান। আন্দ্রে রাসেল ১৫ বলে ৯ রান করে ১৯.৩ ওভারে আউট হয়ে যান। পরের বলেই কামিন্স আউট হন। শেষ বলে বাকি থাকে ১১ রান। ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে কেকেআরের স্কোর দাঁড়ায় ১৪২। মুম্বাইয়ের হয়ে সব থেকে বেশি উইকেট তোলেন রাহুল চাহার। ৪ ওভারে ২৭ রান দিয়ে ৪টি উইকেট নেন। ট্রেন্ট বোল্ট ২টি ও ক্রুনাল পান্ডিয়া পান ১টি উইকেট।