বিধায়ক কেনাবেচা রুখতে জরুরি বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, কী বার্তা দেবেন নেতাদের?
মোটামুটি যদি তৃণমূল কংগ্রেস এর আসন সংখ্যা ১৭০ এর আশেপাশে থাকে তাহলে জয়ী বিধায়কদের কেনাবেচার একটা সম্ভাবনা থাকতে চলেছে বৈকি। সে ক্ষেত্রে লাভবান হয়ে ম্যাজিক ফিগার পেরিয়ে যেতে পারে বিজেপি।
বাংলা নির্বাচন শেষ হয়ে গেলেও এখনো একটা জিনিস মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে শান্ত থাকতে দিচ্ছে না এবং সেটা হল জয়ী প্রার্থীদের পদ্ম শিবিরে নাম লেখানো। এই নিয়ে এবার দলীয় প্রার্থীদের নিয়ে বিশেষ বৈঠক করতে চলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দলের সমস্ত প্রার্থীদের এই বৈঠকে থাকতে অনুরোধ করেছেন খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই বৈঠকে তিনি মূলত দু’টি বিষয় নিয়ে আলোচনা করবেন। তার মূল আলোচ্য বিষয় হতে চলেছে, জেতার পরে টাকার প্রলোভনে দলবদল করবেন না।
আর দ্বিতীয় হতে চলেছে, নির্বাচনের দিন যারা কাউন্টিং এজেন্ট হলে তারা কোন কিছুতেই ভুল করবেন না। কারণ ১ ইঞ্চি ভুল হলেও সমস্যা হয়ে যেতে পারে। এবারের নির্বাচনে বিজেপির প্রধান অস্ত্র হয়ে উঠেছে তৃণমূল নেতাদের দলবদল। শুভেন্দু অধিকারী থেকে শুরু করে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, বৈশালী ডালমিয়া এমনকি রুদ্রনীল ঘোষ সকলেই তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে গিয়েছেন।
এবারে যদি তৃণমূল কংগ্রেসের আসনসংখ্যা মোটামুটি ১৬০ থেকে ১৭০ এর মধ্যে থাকে এবং বিজেপির আসন সংখ্যা ১১০ থেকে ১২০ এর মধ্যে থাকে তাহলে কিন্তু বিধায়ক কেনাবেচার আরো একটি সুযোগ চলে আসছে। তখন কিন্তু তৃণমূলের সমস্যা আরো বাড়তে চলেছে। ১৪৮ ম্যাজিক ফিগার পেতে বিজেপি মরিয়া চেষ্টা করবে সেই সময়।তাই হয়তো বেশ কিছু ক্ষেত্রে প্রলোভনও দেখাতে পারে ভারতীয় জনতা পার্টি।
এই বিষয়টি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিনের বৈঠকে অবশ্যই কথা বলবেন বলেই খবর। এছাড়াও মমতা বলেছেন, কাউন্টিং এজেন্ট যারা রয়েছেন তারা যেন যথাযথ নজর রাখেন। কারণ এই বারের কাউন্টিংয়ে কিন্তু একেবারেই ভুল হওয়া যাবে না। দলের সমস্ত নেতাদের বৈঠকে উপস্থিত থাকার কথা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। নির্বাচনের ফল ঘোষণার আগে তৃণমূল কংগ্রেসের এই হাইপ্রোফাইল বৈঠক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই বৈঠক থেকেই আগামী রণকৌশল স্থির করবে তৃণমূল কংগ্রেস।