মমতার বিরুদ্ধে FIR দায়ের করলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ
সকাল থেকেই বঙ্গ রাজনীতি সরগরম হয়ে রয়েছে তৃণমূল নেতাদের নারদ কান্ডে সিবিআইয়ের গ্রেপ্তারি প্রসঙ্গ নিয়ে। ফিল্মি কায়দায় বাড়ির বাইরে কেন্দ্রীয় জওয়ানদের দাঁড় করিয়ে সিবিআই গোয়েন্দারা সাতসকালে বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করেন তৃণমূল বিধায়ক ফিরহাদ হাকিমকে। এছাড়াও সকালে গ্রেপ্তার করা হয় সুব্রত মুখোপাধ্যায়, মদন মিত্র এবং প্রাক্তন মন্ত্রী শোভন চট্টোপাধ্যায়কে। গ্রেপ্তারির প্রতিবাদে সকাল ১০ টা ৪৭ মিনিটে নিজাম প্যালেসে পৌঁছে যান তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার তার নামেই এফআইআর দায়ের করল বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি এফআইআর দায়ের করে তার কপি রাজ্যপালের কাছে পাঠিয়েছেন।
দিলীপ ঘোষ দাবি করেছেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রীয় বাহিনী চলে গেলে খেলা হবে বলে বারংবার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। ভোটের পর ২ মে তৃণমূল জিতে গেলে একাধিক জায়গায় রাজনৈতিক হিংসার ঘটনা ঘটে। যথেচ্ছভাবে খুন, মারপিট, লুটপাট ইত্যাদি হয়। এমনকি অনেক জায়গায় রাজনৈতিক হিংসার কারণে ধর্ষণ অব্দি হয়েছে। এই সমস্ত ঘটনার দায় শুধুমাত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তিনি কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে উস্কানিমূলক মন্তব্য করেছেন। জনসভায় গিয়ে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে লাঠি, হাতা, খুন্তি ইত্যাদি দিয়ে মারার পরামর্শ দিয়েছেন। তাই মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অবিলম্বে পদক্ষেপ নেওয়া হোক।” এই মর্মে বিজেপি রাজ্য সভাপতি আজ মেদিনীপুরের কোতোয়ালি থানায় তৃণমূল সুপ্রিমো বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছেন।
অন্যদিকে আজ সকাল থেকেই বারংবার বঙ্গ রাজনীতিতে প্রশ্ন উঠছে যে নারদ কান্ডে তৃণমূল নেতাদের গ্রেপ্তার করা হলেও বর্তমান বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং মুকুল রায় কেন ছাড় পেলেন? সিবিআই কি তাহলে পক্ষপাতিত্ব করছে? এই নিয়ে তীব্র জল্পনা-কল্পনা হলেও বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেছেন, “মুকুল রায় এবার শুভেন্দু অধিকারীকে এর আগে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে সিবিআই। তাদের নথিপত্র চেয়েছে এবং তারা সবকিছু খতিয়ে দেখে নিয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের পরও নির্দোষ প্রমাণিত হয়েছে তারা। তাই তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এখন সিবিআই দোষীদের শাস্তি দেওয়ার কাজে লেগে পরেছে।”
অন্যদিকে, আজ সকাল ১০ টা ৪৭ মিনিটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজাম প্যালেসে পৌঁছে সোজাসুজি দুর্নীতি দমন শাখার ১৫ তলার অফিসে চলে যান। এই বিষয়ে তৃণমূল নেতা তথা আইনজীবী অনিন্দ্য রাউত বলেছেন, বেআইনিভাবে গ্রেপ্তার করার প্রতিবাদ করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তা না হলে তিনি সিবিআই দপ্তর থেকে বেরোবেন না। এছাড়াও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, “বেআইনিভাবে চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আমায় গ্রেফতার করতে হবে। না হলে আমি সিবিআই দপ্তর থেকে বেরোবো না।”