নারদ কান্ডে বেআইনিভাবে গ্রেপ্তার করেছে সিবিআই, থানায় FIR দায়ের তৃণমূল কংগ্রেসের
গড়িয়াহাট থানায় তৃণমূল কংগ্রেস সিবিআই এর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে
গত সোমবার সকাল থেকে খবরের শিরোনামে রয়েছে নারদ কান্ড। ঘটনার সূত্রপাত হয়েছিল সোমবার সকালে দুই হেভিওয়েট নেতা ও প্রাক্তন দুই মন্ত্রীকে সিবিআই গোয়েন্দাদের গ্রেপ্তার করার মাধ্যমে। ফিল্মি কায়দায় সাতসকালে ফিরহাদ হাকিম, মদন মিত্র, সুব্রত মুখোপাধ্যায় ও শোভন চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে পৌঁছে তাদের গ্রেপ্তার করে সিবিআই। তবে প্রথম থেকেই মৌখিকভাবে তৃণমূল কংগ্রেস দাবি করেছিল যে তাদের নেতাদের বেআইনিভাবে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এবার আজ অর্থাৎ বুধবার কেন্দ্রীয় সংস্থা সিবিআই এর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করল তৃণমূল কংগ্রেস। বেআইনিভাবে দলের নেতাদের গ্রেপ্তার করার জন্য গড়িয়াহাট থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
তৃণমূলের পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে, “সম্পূর্ণ অসাংবিধানিক উপায়ে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তিন বিধায়ককে। বিধানসভার স্পিকারের অনুমতি ছাড়া কি করে বিধায়কদের গ্রেপ্তার করা যায়? রাজ্যপাল যেদিন অনুমতি দিয়েছিলেন সেদিনও স্পিকার ছিলেন বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যপালের অনুমতিতে কি করে বিধায়কদের গ্রেপ্তার হয়?” এছাড়া গত সোমবার তৃণমূলের পক্ষ থেকে পুলিশ কমিশনারকে চিঠি দেওয়া হয়েছিল। সেই চিঠিতে পুরো ঘটনার পেছনে নরেন্দ্র মোদী এবং অমিত শাহের হাত আছে বলে দাবি করা হয়। তাদের নির্দেশে কাজ করেছে রাজ্যপাল এমনও দাবি জানানো হয়। বিজেপি বিধানসভা ভোটে জিতে ব্যর্থ হয়েছে বলে এমন পদক্ষেপ নিচ্ছে বলে মন্তব্য করা হয়েছিল।
অন্যদিকে আজ অর্থাৎ বুধবার কলকাতা হাইকোর্টে চলছে নারদ মামলার শুনানি। দুপুর ১২ টায় মামলার শুনানি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তারপরে পিছিয়ে তা দুপুর ২ টোয় করা হয়েছে। মামলায় সিবিআই মোট ৫৩ পাতার একটি চার্জশিট তৈরি করেছে। সিবিআই কর্তারা প্রাণপণ চেষ্টা করছে যাতে এই নেতাদের আজ জামিন না হয়। তাই তারা এই নারদ কান্ড মামলাকে অন্য রাজ্যে সরিয়ে নিতে যাওয়ার চেষ্টা করছে। তাই গত সোমবার নিজাম প্যালেস এর বাইরে মানুষের বিক্ষোভের ভিডিও কেন্দ্রকে পাঠিয়ে তারা এই মামলা রোজভ্যালির মামলার মতো অন্যত্র জায়গায় নিয়ে যাওয়ার আবেদন জানিয়েছে।