ফেব্রুয়ারি মাসে ধারাবাহিকে শ্যুটিং এর মাঝেই অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন ঐন্দ্রিলা শর্মা। এরপর দিল্লিতে চিকিৎসার জন্য গিয়ে দ্বিতীয়বার ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার কথা জানতে পারেন ঐন্দ্রিলা। তবে সেই সময় ভেঙে পড়লেও হাল ছাড়েননি তিনি। সেই অবস্থাতেই একটু ঠিক হতেই শ্যুটিং শেষ করেছেন সান বাংলার জিয়নকাঠি ধারাবাহিকের। ফুসফুসের বিশাল আকারের টিউমার নিয়ে ধারাবাহিকের শ্যুটিং চালিয়ে গেছেন ঐন্দ্রিলা। অভিনেত্রীর মনোবল ছিল প্রবল যার জন্য তাঁকে কেউ টলাতে পারেননি।
শ্যুটিং এর পাশাপাশি চলেছে একাধিক কেমোথেরাপি, খাওয়া-দাওয়া এবং কেমোর জন্য আয়তনে অনেকটাই কমে যায় এই টিউমার। তবে হার্টের খুব কাছাকাছি হওয়ায় এই অস্ত্রপচার বেশ কঠিন ছিল। তবে এই কঠিন সময়ে অভিনেত্রীর পাশে সর্বদা ছিল তাঁর পরিবার এবং তাঁর মনের মানুষ সব্যসাচী চৌধুরি ওরফে টেলিভিশন পর্দার বামাক্ষ্যাপা। অভিনেত্রীর অসুস্থতার খবর পেয়ে প্রথমেই তিনি শ্যুটিং ছেড়ে চলে যান দিল্লিতে। এরপর সব্যসাচী ঐন্দ্রিলার কেমো থেকে শ্যুটিং ফ্লোর সবেতেই তাঁর পাশে ছিলেন সব্যসাচী।
ঐন্দ্রিলার অস্ত্রোপচারের কথা প্রথম সব্যসাচী জানান সোশ্যাল মিডিয়ায়। এমনকি গতকাল অভিনেত্রির অস্ত্রোপচার হয়। সেই ক্রিটিক্যাল অস্ত্রোপচার সফল হওয়ার কথা জানিয়েছেন এই অভিনেতা সোশ্যাল মিডিয়াতে। তিনি আরো জানান, এখন আগের থেকে সুস্থ আছে ঐন্দ্রিলা, এখন আইসিউতে আছে। কিছুদিন পর হাসপাতাল থেকে বাড়ি যেতে পারবেন তিনি। তবে এই সবকিছুর মধ্যেও এই কঠিন অবস্থায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন সব্যসাচী এবং ঐন্দ্রিলা।
ঐন্দ্রিলা কে সাহস দেওয়ার পাশাপাশি করোনা আর ইয়াশ ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত একাধিক মানুষের জীবন বাঁচানোর চেষ্টা করে চলেছেন সব্যসাচী। আর তাঁর এই কাজে প্রধান সঙ্গী ঐন্দ্রিলাও আছেন। তাই অনেকেই ঐন্দ্রিলার এই খবর পাওয়ার পর থেকেই দুশ্চিন্তায় ছিলেন অনুরাগীরা। সব্যসাচী আরো বলেছেন, জানিয়েছেন অস্ত্রোপচারের কথা জানার পর অনেকেই ঐন্দ্রিলার নামে পুজো দিয়েছেন, তাঁদের সকলকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন অভিনেতা। তাঁদের প্রার্থনাতে ঐন্দ্রিলার মনের জোড়, লড়াই চালিয়ে যাওয়ার ইচ্ছে এবং সকলের ভালোবাসার জন্য আবারও এক কঠিন জীবন যুদ্ধে জয়ী হলেন ঐন্দ্রিলা শর্মা। এরপর অনুগামীরাও বলেছেন ঐন্দ্রিলা দ্রুত সুস্থ হয়ে কাজে ফিরে আসুক।