নিউজপলিটিক্সরাজ্য

সৌমিত্র খাঁ এর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করল তৃণমূল, বিপাকে বিজেপি সাংসদ

তৃণমূলের অভিযোগ, সৌমিত্র খাঁ এর মন্তব্য উস্কানিমূলক এবং তা আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটাতে পারে

Advertisement

কিছুদিন আগে উত্তরবঙ্গকে পৃথক রাজ্য করে তোলার দাবি জানিয়ে সরব হয়েছিলেন আলিপুরদুয়ারের বিজেপি সাংসদ জণ বারলা। তৃণমূল কংগ্রেসের তরফ থেকে তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা দায়ের করা হয়েছে। এবারে জনের পথেই হেটে রাঢ়বঙ্গ কে আলাদা রাজ্য করার দাবি নিয়ে সরব হলেন বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। তার মন্তব্যের পরেই এবারে তার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে তৃণমূল কংগ্রেস।

তৃণমূল কংগ্রেসের তরফ থেকে আলিপুরদুয়ারের জেলা যুব তৃণমূল সভাপতি বাবলু কর এই এফআইআর দায়ের করেছেন। তিনি অভিযোগ জানিয়েছেন সৌমিত্রের মন্তব্য অত্যন্ত উস্কানিমূলক এবং আইন শৃংখলার অবনতি ঘটাতে পারে এই ধরনের মন্তব্য। আলিপুরদুয়ার থানায় এই মর্মে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অন্যদিকে সৌমিত্র খাঁ এর মন্তব্য ব্যক্তিগত মন্তব্য বলে নিজেদেরকে বিতর্ক থেকে সরিয়ে রেখেছে বিজেপি। এরকম অবস্থায় যেখানে সৌমিত্র পার্টির তরফ থেকে তেমন কোনো সাহায্য পাচ্ছেন না তার বিতর্কিত বক্তব্যের জন্য, সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে আবার মড়ার ওপর খাড়ার ঘা, এফআইআর, ফলে স্বভাবতই সাঁড়াশি চাপে সৌমিত্র খাঁ।

উত্তরবঙ্গের বিজেপি সাংসদ জন বার্লা কিছুদিন আগে দাবি রেখেছিলেন উত্তরবঙ্গ আলাদা রাজ্য অথবা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হোক। তার সুরে সুর মিলিয়ে বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খাঁ দাবি জানান, পৃথক রাজ্যের মর্যাদা দেওয়া হোক জঙ্গলমহল কে। তিনি জানান, “আমাদের এলাকার সাধারণ মানুষ বঞ্চিত। আমাদের এলাকার সম্পত্তি রাজ্য সরকারের কোষাগারে যাচ্ছে কিন্তু আমাদের মানুষ কিছু পাচ্ছে না। আগামী দিনে রাঢ়বঙ্গ পৃথক রাজ্য করার দাবি উঠতেই পারে এবং আমরা সেই দাবি তুলবো।”

যদিও সৌমিত্র খাঁ এর এই মন্তব্য নিয়ে বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু বলেন, “রাঢ়বঙ্গ কে যে পৃথক রাজ্য করে তোলার দাবি জানানো হয়েছে তার দলের বক্তব্য নয়, এটা সৌমিত্র খাঁ এর ব্যক্তিগত বক্তব্য। রাঢ়বঙ্গ কে নিয়েছে অবহেলার অভিযোগ করেছেন সৌমিত্র তার সমর্থন করছি সবাই, কিন্তু জঙ্গলমহলকে আলাদা রাজ্য করে দেওয়া হবে এরকম কোন দাবি বিজেপি রাখছে না। বিজেপি মনে করে অবিভক্ত পশ্চিমবঙ্গ থাকা উচিত। তবে জঙ্গলমহলে জেলাগুলির মানুষকে সবসময় অবহেলা করে এসেছে রাজ্য সরকার। এই জেলাগুলির জন্য পৃথক উন্নয়ন বোর্ড গঠন করা উচিত এবং জঙ্গলমহলের জন্য অবিলম্বে পৃথক প্যাকেজ ঘোষণা করা উচিত রাজ্য সরকারের।”

Related Articles

Back to top button