গত ১৫ আগস্ট কাবুলের দখল নিয়েছিল ভয়ঙ্কর পরাক্রমশালী জঙ্গিগোষ্ঠী তালিবান। এই তালিবানদের নিয়ে নানা সময় নানা রকম তথ্য সামনে এসেছে। জানা যাচ্ছে বর্তমানে তারা আফগান বাসীদের জন্য ভয়াবহতা ডেকে আনতে শুরু করেছে। ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকজন আফগানবাসীকে হত্যা করেছে তারা। নতুন ঘোষণার পর এই তালিকায় আরও বড় হলো বলে সূত্রের খবর।
তালেবান মুখপাত্র সুহেল শাহীন বলেছেন, এবারে আফগানিস্তানের উন্নতির জন্য তারা সরাসরি চীনের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করতে পারে। যদি চীনের সঙ্গে যোগাযোগ হয়, তাহলে কিন্তু ভারতের পক্ষে ব্যাপারটা খুব একটা ভালো হবে না। চলতি বছর জুলাই মাসে চীন সফরে গিয়েছিলেন সুহেল শাহিন এবং একাধিক তালেবান নেতা। তাদের সঙ্গে চীনের বিদেশ মন্ত্রীর কথা হয়েছিল।
সূত্রের খবর, বহুদিন ধরে চীনের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করে রেখেছে তালিবান। তালেবানের সঙ্গে চীনের এরকম যোগাযোগের কোনো চাপে পড়তে পারে ভারত। আফগানিস্তান, পাকিস্তান এবং চীনের মাঝখানে পড়ে ভারত। এই অবস্থায় যদি চীন এবং আফগানিস্তান একসাথে হয় তাহলে ভারতের জন্য সমস্যা বাড়বে বৈ কমবে না।
তালিবানের উত্থানে চীনের যে প্রত্যক্ষ মদদ রয়েছে সেটা ইতিমধ্যেই স্বীকার করে নিয়েছে এই সংগঠন। পাশাপাশি, আফগানিস্তানের পরিকাঠামো উন্নয়ন করার জন্য এবারে চীনের সাহায্য গ্রহণ করবে তালেবান। তালেবান মুখপাত্র সুহের শাহিন ইতিমধ্যেই জানিয়েছেন, চীনের যেহেতু অর্থনীতি অত্যন্ত বড়ো এবং ভাল, সেই কারণে আফগানিস্তানের সঙ্গে চীনের একটি চুক্তি হতে পারে। চীনের পক্ষ থেকে এখনও পর্যন্ত সরাসরিভাবে কিছু বলা হয়নি। অপর একটি তথ্য উঠে আসে যেখানে জানা যাচ্ছে, তালিবানদের একাংশ উইঘুর মুসলিমদের উত্থানে সাহায্য করেছে। আর সেইখানে সমস্যা রয়েছে চীনের শি জিনপিং সরকারের।
চীনের বিদেশ মন্ত্রী যখন তালিবানদের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন সেই সময় সরাসরি ভাবে এই উইঘুর মুসলিমদের কথা জানিয়ে দিয়েছিলেন। তারা জানিয়েছেন, যদি উইঘুর মুসলিমদের সাহায্য করে তালিবান তাহলে আফগানিস্তানের কোন সাহায্য করবে না চীন। এইখানে একটা সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে তালিবানদের জন্য। তবে শুধুমাত্র যে চীনের সঙ্গে তালিবানদের যোগ রয়েছে সেরকম কিছু না। ইতিমধ্যেই রাশিয়া নিজেদের ঘাঁটি তৈরি করার চেষ্টা করেছে আফগানিস্থানে। এছাড়াও, আফগানিস্তানে তালেবানদের উত্থানে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে পাকিস্তান। এই কারণেই ভারতের জন্য বর্তমানে অশনি সংকেত এর খাঁড়া ঝুলছে।