আটকের ২৪ ঘন্টা পার হওয়ার পর অবশেষে সোমবার জামিন পেলেন তৃণমূল যুব নেত্রী সায়নী ঘোষ। সায়নীকে দু’দিনের জন্য পুলিশি হেফাজতে রাখার আবেদন জানানো হয়েছিল। তবে শুনানি শেষে কিছু শর্ত দিয়ে বিচারক জামিন দিলেন যুবনেত্রী সায়নীকে। এদিন বিকেল পৌনে ৫টা নাগাদ তৃণমূল যুব নেত্রীকে আগরতলা আদালতে পেশ করা হয়। এদিন বিচারক জানিয়েছেন, তদন্তের স্বার্থে যখনই ডাকা হবে সায়নীকে তখন তাঁকে থানায় হাজিরা দিতে হবে বলে জানাল আদালত।
রবিবার সক্কাল সক্কাল হোটেলে হানা দেন সেখানকার স্থানীয় পুলিশরা। সেখান থেকে তৃণমূল নেত্রী সায়নী ঘোষকে আগরতলা পূর্ব মহিলা থানায় নিয়ে আসা হয় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য। শনিবার ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেবের বিষয়ে কুরুচিকর মন্তব্য করেছেন। তারই পরিপ্রেক্ষিতে রবিবার তৃণমূল নেত্রীকে আগরতলা পূর্ব মহিলা থানায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আনা হয়েছে। এরপর তাঁর বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টা-সহ একাধিক অভিযোগে গতকাল বিকেলে আটক করেন পূর্ব আগরতলা মহিলা থানার পুলিশ।
সোমবারই তাঁকে আদালতে পেশ করে পুলিশ। দু’পক্ষের সওয়াল জবাবের পর ২০ হাজার টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে সই করে জামিন পান সায়নী ঘোষ। তবে শর্ত এই তদন্তে সহযোগিতা করতে হবে তাঁকে। পাশাপাশি এইদিন তৃণমূল নেত্রীকে নিরাপত্তা দেওয়ার আরজি জানিয়েছে তৃণমূল নেতৃত্ব। তৃণমূল নেত্রীর জামিনের পর তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক তথা মুখপাত্র কুণাল ঘোষ জানান, “রাজনৈতিক প্রতিহিংসার জেরেই সায়নীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। অভিযোগ প্রমাণ না হওয়ায় জামিন পেলেন সায়নী।”
এরপর সায়নী সংবাদমাধ্যমকে জানান, এটা ‘সত্যের জয় হল’। রবিবার সায়নীকে পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদের সময় থানায় একাধিকবার হামলা হয় বলে অভিযোগ করা হয় আর এর জন্যই সায়নীর বিশেষ নিরাপত্তার ব্যবস্থা করার আর্জি জানিয়েছে তৃণমূল। জামিনের পর সায়নীর অভিযোগ, “রবিবার রাতে থানায় তাঁকে হামলা কএয়া হয়েছিল। তাঁকে নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য পুলিশ অন্য থানায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।”
এদিন তৃণমূলের পক্ষ থেকে আরো এক অভিযোগ করা হয়। তাঁদের অভিযোগ, পরিকল্পিতভাবেই তৃণমূলের প্রচারের কাজ ভাসতে দেওয়ার জন্য প্রশাসনের তরফে এই কাজ করা হয়েছে। আগামী ২৫ নভেম্বর বৃহস্পতিবার ত্রিপুরায় পুরভোট। তার আগে আগামী মঙ্গলবার ছিল পুরভোটের প্রচারের শেষ দিন। আর কথামতো সোমবার ত্রিপুরায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভা ছিল। সেই সভার পরিকল্পনা নষ্ট হয় তাই সায়নীকে গ্রেফতার করা হয়েছিল।