চলতি মাসের ২০’শে ডিসেম্বর বলিউডের এক অভিনেত্রী নিজের বন্ধুদের সাথে হুক্কা পার্লারে সময় কাটাচ্ছিলেন। সেই সময় ওই হুক্কা পার্লারে দুই ব্যক্তি ঐ অভিনেত্রীর কাছে আসেন এবং নিজেদের এনসিবির আধিকারিক হিসেবে পরিচয় দেন। এরপরেই তাকে নানাভাবে হুমকি দেওয়া শুরু করেন ঐ দুই ব্যক্তি। কার নামে মাদক মামলা করার ভয়ও দেখানো হয়। এমনকি মামলা এড়ানোর জন্য ঐ বলিউড অভিনেত্রীর কাছ থেকে ৪০ লক্ষ টাকা চেয়ে বসেন তারা। এরপরে ক্রমাগত ঐ দুই ব্যক্তির কাছ থেকে হুমকি পেতে পেতে আত্মঘাতী হয়েছেন অভিনেত্রী।
জানা যায়, প্রথমে মাদক মামলা এড়ানোর জন্য ৪০ লক্ষ্য টাকা চাওয়া হলেও পরবর্তীকালে সেটা কমতে কমতে ২০ লাখে এসে পৌঁছায়। বর্তমানে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ক্রমাগত ঐ দুই ভুয়ো এনসিবি আধিকারিকের কাছ থেকে হুমকি পেতে পেতে শেষপর্যন্ত আর কোন রাস্তা খুঁজে না পেয়ে অভিনেত্রী আত্মহত্যার পথ বেছে নেন।
অভিনেত্রী কাছে যে দুই ব্যক্তি ভুয়ো এনসিবি আধিকারিক সেজে এসেছিলেন তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। ঐ দুই অভিযুক্তের নাম সূরাজ পারদেশাই ও প্রবীণ ভালিম্ব। এই দুই ব্যক্তির সাথে আরও বেশ কয়েকজন এই ঘটনায় জড়িয়ে থাকতে পারে বলেই সন্দেহ পুলিশের। বর্তমানে এই দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করার পর তাদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০৬, ১৭০, ৪২০, ৩৮৪, ৩৮৮, ৩৮৯, ৫০৬ ও ১২০ বি ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে মহারাষ্ট্র সরকারের মন্ত্রী নবাব মালিক এনসিবির বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। তার মতে, এনসিবি প্রাইভেট আর্মি তৈরি করে সাধারণ নিরপরাধ মানুষদের রক্ষা করার বদলে তাদের হেনস্তা করছেন। যার ফল এই ঘটনা।
বর্তমানে পুলিশ এই অভিনেত্রীর মৃত্যুর পর তদন্ত চালাচ্ছেন। কেন অভিযুক্তরা তাকেই টার্গেট করলেন? ক্রমাগত অভিনেত্রীকে হুমকি দেওয়ার কারণই বা কি ছিল? এই ধরনের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর খুঁজতেই তদন্ত চালাচ্ছে পুলিশ। অভিনেত্রীর বন্ধু-বান্ধবদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য পুলিশ আটক করেছে। পুলিশের অনুমান, এই ঘটনায় সম্ভবত আরো বেশ কয়েকজন গ্রেফতার হতে পারে।