দিল্লি পর ওমিক্রন সংক্রমনের আশঙ্কা দেখা দিচ্ছে কলকাতাতেও। জানা যাচ্ছে, যার প্রভাব পড়তে পারে কলকাতা চলচ্চিত্র উৎসবের উপরে। নাইট কার্ফিউ নিয়ে দোটানাতে রয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উৎসবের চেয়ারপার্সন রাজ চক্রবর্তী ৭-ই জানুয়ারি নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামের বদলে নবান্ন থেকেই চলচ্চিত্র উৎসবের ভার্চুয়াল উদ্বোধন করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ঠিক ছিল নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে বড় করে পালিত হবে চলচ্চিত্র উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। একথা জানা গিয়েছিল পরিচালক-বিধায়ক রাজ চক্রবর্তীর কথা থেকেই। তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে সেই চলচ্চিত্র উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান বড় করে উদযাপনে বাধ সেধেছে ওমিক্রন সংক্রমণ।
যেহেতু ২০২২-এ ওমিক্রন সংক্রমনের জন্য ভার্চুয়ালি পালিত হবে চলচ্চিত্র উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান, সেক্ষেত্রে কী কী পরিবর্তন আসতে চলেছে সেই অনুষ্ঠানে তা জানালেন রাজ চক্রবর্তী। তিনি জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করবেন এই চলচ্চিত্র উৎসবের। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত এখনো নেওয়া হয়নি। আগেই তিনি রাজ চক্রবর্তীকে কিছুটা নির্দেশ দিয়ে রেখেছিলেন। তিনি গঙ্গাসাগর থেকে ফিরে এসে সিদ্ধান্ত নেবেন জানিয়েছিলেন। ইতিমধ্যেই তিনি ফিরে এসেছেন। অনুষ্ঠানে কি কি বদলানো হবে? বলিউডের যে সমস্ত তারকাদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল এটি বহাল থাকবে কিনা? সেই সমস্ত বিষয় নিয়েই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
চলচ্চিত্র উৎসবের পাশাপাশি নিজের ছবির মুক্তির বিষয় নিয়েও চিন্তিত রাজ চক্রবর্তী। কারণ ওমিক্রন সংক্রমণের জন্য এবারও তার পরিচালিত শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায় অভিনীত ‘ধর্মযুদ্ধ’এর মুক্তি আটকে যাওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। যদি এবারও ধর্মযুদ্ধের মুক্তিতে বিঘ্ন ঘটে, তাহলে এই নিয়ে মোট তিনবার এই একি ঘটনা ঘটতে চলেছে।
এই প্রসঙ্গে রাজ চক্রবর্তী আফসোস করে জানিয়েছেন, প্রতিবার ছবির পর্যাপ্ত প্রচার, প্রেক্ষাগৃহে ট্রেলার মুক্তির পরেও পারিপার্শ্বিক পরিবেশের জন্য বারবার ছবি মুক্তিতে বিঘ্ন ঘটছে। তিনি জানিয়েছেন সময় উপযোগী একটি ছবি বানিয়েছেন তিনি। কিন্তু সময় তার সাধ দিচ্ছে না তাই তিনি কিছুতেই এই ছবি দর্শকদের দেখাতে পারছেন না। কলকাতাতে ধীরে ধীরে ওমিক্রন সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় আমারও ছবি মুক্তিতে বিঘ্ন ঘটতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।