সেলিব্রেটিদের লুকিয়ে বিয়ে বা গণমাধ্যমকে খানিক লুকোচুরিতে রেখে বিয়ের কালচারটা আজকের নয় বরং বহু পুরাতন। করোনার এই সাময়িক বিরতির সময় গতবছর ডিসেম্বরের শুরুতে বলিউডের অন্যতম আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল বলিউডের অন্যতম হেভিওয়েট কাপল ভীকি আর ক্যাটের বিবাহ। দুজনের বিয়ে সম্পন্ন হওয়ার কিছুদিনের মাঝে বলিপাড়াতে একই সঙ্গে আরও কিছু বিয়ের খবর চাউর হতে শুরু করেছে। এর মাঝে বর্ষ শেষে অস্কারজয়ী এ আর রহমান কন্যা বাগদান সারলেন। এর মাঝেই নতুন জল্পনা নতুন বছরে বিয়ে করছেন বলি ডিভা আমিশা প্যাটেল।
বেশ কিছু দিন ধরেই আমিশার সাথে প্রয়াত কংগ্রেস নেতা আহমেদ প্যাটেলের ছেলে ফয়জলকে মুম্বাইয়ের রাস্তার এখানে – ওখানে-সেখানে যুগলে দেখা যাচ্ছিল। দুজনের প্রেমের সম্পর্ক নিয়ে মুখ খোলেননি কেউই। তবে সদ্য টুইটারে পাওয়া গেল তাঁদের প্রেমের। প্রকাশ্যে অভিনেত্রী আমিশা প্যাটেলকে বিয়ের প্রস্তাবই দিয়ে বসেছেন ‘ বিশেষ বন্ধু’ ফয়সাল প্যাটেল৷ একেবারে ভরা বাজারে বলা যেতে পারে। তবে এর কিছুক্ষণ পরেই অবশ্য মুছে যায় প্রপোজাল টুইট। ততক্ষণে যা হওয়ার হয়ে গিয়েছে। ‘কহো না’ কন্যের বিয়ের জল্পনায় হইচই জুড়ে গিয়েছে বলিপাড়াতে।
এখন পেজ থ্রিতে একটাই খবর বিয়ে করছেন আমিশা প্যাটেল? তবে বিয়ের জল্পনা সম্পূর্ণভাবে ওড়ালেন খোদ অভিনেত্রী। ফয়জল প্যাটেলের সঙ্গে তাঁর চার হাত এক হওয়ার গুঞ্জনকে পুরোপুরি মিথ্যে বলেই দাবি করলেন আমিশা। সম্প্রতি আমিশার বিশেষ বন্ধু ফয়জলের জন্মদিন ছিল। তাঁকে যেভাবে আমিশা শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন তা নেটনাগরিকদের নজর এড়ায়নি। তিনি প্রকাশ্যে লিখেছিলেন, “শুভ জন্মদিন ডার্লিং। লাভ ইউ। বছরটা দারুণ কাটুক।” ওই পোস্টের পরই দেখার ছিল ফয়জলের প্রত্যুত্তর। তিনি লেখেন, “ধন্যবাদ আমিশা। আমি সকলের সামনেই জিজ্ঞেস করছি। আমায় বিয়ে করবে?”
এই প্রশ্নের পর জল্পনা শুরু হয়। অবশ্য এই জল্পনার মাঝে প্রেমের প্রস্তাবটি পুরোপুরি ডিলিট করে দিয়েছিলেন ফয়জল। এর মাঝেই বিয়েই জল্পনা নিয়েই এবার মুখ খুললেন বলিউড অভিনেত্রী আমিশা প্যাটেল। বলিউড অভিনেত্রী সংবাদমাধ্যমকে পরিষ্কার করে জানান, “ফয়জলের সঙ্গে সম্পর্ক বহুদিনের। আমিশা এবং ফয়জলের পরিবারের সকলে একে অপরকে ভালভাবে চেনেন। দু’জনের মধ্যে সম্পর্ক ভাল। তবে আলাদা করে প্রেমের প্রস্তাব দেওয়ার কোনও প্রশ্নই ওঠে না। দু’জনের বিয়ের পরিকল্পনা নেই। একা আছি। একাই থাকতে চাই।” যদি তাই হয় এবার প্রশ্ন হল ফয়জল এই প্রেমের প্রস্তাব ডিলিট করলেন কেন ফয়জল, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। আমিশার দাবি, তিনি ফয়জলকে সেই টুইট ডিলিট করতে বারণ করেছিলেন। তবে ফয়জলের কাছে বেশ কয়েকটি ফোন আসার পরই তিনি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আমিশার স্টেটমেন্ট শুনে বোঝা গেল নতুন বছরে বি টাউনে তাঁর বিয়ের আর কোনও সম্ভাবনা নেই।