শুরু হয়ে গিয়েছে প্রেমের সপ্তাহ। ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকটি দিন কেটে গিয়েছে এই সপ্তাহের। আর কয়েক দিনের মধ্যে আসতে চলেছে ভ্যালেন্টাইন্স ডে অর্থাৎ প্রেমের দিবস। আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি পালিত হতে চলেছে এই দিনটি। এই প্রেমের মরশুমে নতুন করে শিরোনামে উঠতে শুরু করেছে বেশ কয়েকজন তারকার ব্যক্তিগত জীবনের প্রেম কাহিনী। আজকে আমরা আপনাদের সাথে এমন একজন ক্রিকেটারের ব্যক্তিগত জীবনের প্রেম কাহিনী শেয়ার করতে চলেছি, যা দেখে আপনার মনে হবে না যে এটা আসল গল্প। আপনাদের সব সময় মনে হবে এটা হয়তো কোনো একটি বলিউড সিনেমার স্ক্রিপ্ট। এই তারকা ক্রিকেটার হলেন পাকিস্তানের প্রাক্তন জোরে বোলার মোহাম্মদ আমির। এই বাঁহাতি জোরে বোলারকে চেনেন না এমন মানুষ হয়তো নেই। তবে মোহাম্মদ আমির এখন পাকিস্তান ক্রিকেট থেকে সম্পূর্ণরূপে অবসর নিয়েছেন।
এই অবসর এর পিছনে একাধিক কারণ থাকলেও, মোহাম্মদ আমির এখন পাকিস্তান সুপার লিগে খেলার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন। কিন্তু তারই মধ্যে তার জীবনের প্রেম কাহিনী নতুন করে চর্চায় এসেছে এই প্রেমের সপ্তাহে। আপনি কি জানেন, মোহাম্মদ আমিরের স্ত্রী একজন আইনজীবী এবং তার সঙ্গে মোহাম্মদ আমিরের দেখা হয়েছিল যখন, মোহাম্মদ আমির ছিলেন জেল হেফাজতে! সময়টা ছিল ২০১০, সেই সময় পাকিস্তানের ইংল্যান্ড সফরে স্পট ফিক্সিংয়ের জন্য অভিযুক্ত হয়েছিলেন মোহাম্মদ আমির। এই সময় মোহাম্মদ আমিরের ৬ মাসের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি। সেই ছয় মাস তার জীবনের সবথেকে খারাপ সময়টা কেটেছিল। কিন্তু, সেই জেলে থাকাকালীন সময়তেই তিনি প্রেমে পড়েন তার আইনজীবী নার্জিস খাতুন এর।
আসলে তার বর্তমান স্ত্রী নার্জিস ইংল্যান্ডে বসবাসকারী পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত একজন আইনজীবী। তিনি নিজেই মোহাম্মদ আমিরের এই কেসের দায়িত্ব নিয়েছিলেন। এই মামলার জন্য তাকে বার কয়েক মোহাম্মদ আমিরের সঙ্গে দেখা করতে হয়। এই দেখা সাক্ষাতের সময় থেকেই তাদের দুজনের মন দেওয়া নেওয়া হয়ে যায়। মোহাম্মদ আমিরের জন্য ওই ৬ মাসের জেল হেফাজত খুব একটা সহজ বিষয় ছিল না, কিন্তু সেই সময় নার্জিস সব সময় তার পাশে ছিলেন। জেলের শাস্তি শেষ হওয়ার পরে, পাকিস্তানে ফিরে এসে মোহাম্মদ আমির নার্জিস খাতুনের সঙ্গে বিবাহ করেন। যদিও, বেশ অনেকদিন পরে সংবাদমাধ্যমে তার বিবাহের খবর সামনে আসে।
বিবাহের ঠিক এক বছরের মাথায় ২০১৭ সালে দুজনের প্রথম সন্তান মিনসার জন্ম হয়। বর্তমানে পাকিস্তানি ক্রিকেট থেকে অবসর গ্রহণ করে মোহাম্মদ আমির নিজের স্ত্রী এবং কন্যা সন্তানের সঙ্গে ইংল্যান্ডে বসবাস করেন। যদিও মোহাম্মদ আমিরের আগেও একটি সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন, তিনি বিবাহের পর ইংল্যান্ডে স্থায়ীভাবে বসবাস করতে চান। সেই দেশেই নিজের সন্তানের পড়াশোনা করাতে চান তিনি। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, যে সময়ে মোহাম্মদ আমিরের উপরে ৬ মাসের জেল হেফাজত দেওয়া হয়েছিল, সেই সময় তিনি মাত্র ১৮ বছর বয়সী ছিলেন।