ক্রিকেট জগতের অন্যতম সফল ক্রিকেটার শেন ওয়ার্ন গত শুক্রবার প্রায়াত হাওয়ায় ক্রিকেট জগত বর্তমানে বাকরুদ্ধ। চির নিদ্রার জগতে চলে গেছেন স্পিনের জাদুকর শেন ওয়ার্ন। ৫২ বছর বয়সী শেন ওয়ার্নের সংস্থার তরফে কিংবদন্তি অজি লেগ স্পিনারের মৃত্যুর খবর জানানো হয়েছিল। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন ওয়ার্ন। মৃত্যুকালে তিনি থাইল্যান্ডে তার নিজের ভিলায় ছিলেন বলে জানা গেছে। ওয়ার্নের এজেন্সির তরফে এই বিষয়ে এক বিবৃতিতে জানানো হয়, ‘শেন ওয়ার্নকে উনার বাংলোয় নিষ্প্রাণ অবস্থায় পাওয়া যায়। মেডিকেল দল নিজেদের পুরো চেষ্টা করেও তাঁকে আর ফেরাতে পারেনি।’
ব্যক্তিগত জীবনে শেন ওয়ার্নকে একাধিক খারাপ কর্মকাণ্ডে জড়াতে দেখা গিয়েছে। সেটা হোক নারীঘটিত কিংবা নেশাগ্রস্ত হওয়া। তবে ক্রিকেট জগতে এর কুপ্রভাব কখনো পড়তে দেননি শেন ওয়ার্ন। ক্রিকেট জগতে সর্বদাই নিজেকে সর্বোত্তম হিসেবে পেশ করেছেন তিনি। প্রত্যেক ক্রিকেটারের সাথে তার সম্পর্ক ছিল অত্যন্ত নিবিড়। হাসিখুশি চলে মাঠে অন্য ক্রিকেটারদের সাথে মেতে থাকতে দেখা গেছে অস্ট্রেলিয়ান এই কিংবদন্তিকে। ১৯৯৯ সালে অ্যাডিলেডে ভারত বনাম অস্ট্রেলিয়া টেস্ট ম্যাচ চলাকালীন ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক সৌরভ গাঙ্গুলীর সাথে এরকম একটি হাসি খুশির মুহূর্ত ক্যামেরাবন্দী হয়েছিল।
অস্ট্রেলিয়া অ্যাডিলেড ওভালে ভারতের বিপক্ষে খেলছিল তিন টেস্টের সিরিজ। আর সেখানে শেন ওয়ার্ন রাউন্ড দ্য উইকেট বোলিংয়ে এসেছিলেন গাঙ্গুলির সামনে। তখন সৌরভের সঙ্গে টেন্ডুলকার নন-স্ট্রাইকার প্রান্তে ছিলেন। শেন ওয়ার্ন গাঙ্গুলীর সামনে বোলিং করতে শুরু করলে প্রথম তিন চারটি বল পা দিয়ে আটকানোর চেষ্টা করেন ভারতের সাবেক অধিনায়ক সৌরভ গাঙ্গুলী। গাঙ্গুলি কেবল সেই বলগুলো লাথি মারছিলেন।
অস্ট্রেলিয়ার গ্রেট ইয়ান চ্যাপেল ডকুমেন্টারিতে বলেছেন,’শেন ওর্য়ান এবং সৌরভ গাঙ্গুলীর মধ্যে তিন বা চারটি বল এমন ভাবে চলতে থাকে। অবশেষে শেন ওয়ার্ন সৌরভের উদ্দেশ্যে বলেন ‘আরে সাথী, এই ৪০,০০০ লোক এখানে আপনাকে ব্লক করা এবং বলকে লাথি মারা দেখতে আসেনি, তারা শচীনকে শট খেলতে দেখতে এসেছে।’ তার এক ওভার পরে সৌরভ গাঙ্গুলী আউট হয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন। অ্যাডিলেড খেলাটি ছিল কুখ্যাত তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজ। যেখানে ভারত ০-৩ ব্যবধানে পরাজিত হয়েছিল।