২ টাকার কয়েনে এই সংখ্যা লেখা থাকলেই পেয়ে যাবেন ৫ লাখ টাকা, জেনে নিন বিস্তারিত
পুরনো মুদ্রা এবং নোট আন্তর্জাতিক বাজারে চড়া দামে নিলাম হয়
করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে গোটা বিশ্বের অর্থনীতির ভীত নড়ে গিয়েছে। অনেকেই এই অতিমারীর প্রভাবে কাজ হারিয়েছে। সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে বড় বড় ব্যবসায়ী সকলেই ব্যাপক অর্থনৈতিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন। এখন তো অনেকেই যেকোনো একটি কাজ করে নিজের সংসার চালানোর পথে এগিয়েছেন। তবে আপনাকে যদি বলি আপনি খুব সহজেই একটি মাত্র ভারতীয় টাকার সাহায্যে অনেক অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। শুনে বিশ্বাস না হলেও, এটাই সত্যি। আপনি যদি পুরনো নোট ও কয়েন সংগ্রহ করে থাকেন, তাহলে আজকের এই প্রতিবেদনটি অবশ্যই পড়ুন।
আজকালকার দিনে অনেকেই শখের জন্য বিভিন্ন পুরনো নোট এবং কয়েন সংগ্রহ করে রাখেন। কিন্তু অনেকেই হয়তো জানেন না এই সমস্ত পুরনো মুদ্রা এবং নোট আন্তর্জাতিক বাজারে নিলাম হয়। চড়া দামে বিক্রি হয় ১ টাকা, ২ টাকা বা ৫ টাকা মূল্যের পুরনো নোট বা কয়েন। একটা কারেন্সি নোট দিয়ে আপনি চোখের পলকে কোটিপতি হয়ে যেতে পারেন। তাহলে আর দেরি না করে পুরনো মানিব্যাগ বা লক্ষীর ভান্ডার থেকে কয়েন খুঁজতে শুরু করুন। বলা যায় না, কোন ২ টাকা বা ৫ টাকার কয়েন আপনাকে চোখের পলকে ধনী করে দিতে পারে।
সম্প্রতি জানা গিয়েছে, আপনার কাছে যদি ১৯৯৪ সালের পুরনো ২ টাকার কয়েন থাকে তাহলে আপনিও নিমেষে বড়লোক হয়ে যেতে পারেন। এই মুদ্রার পেছনে শুধু ভারতের পতাকা থাকতে হবে। এমন কয়েন যদি আপনার কাছে থাকে তাহলে অনলাইন ওয়েবসাইট Quikr বা olx এ বিক্রি করে আপনি এক্ষুনি ২ টাকার বদলে ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত পেয়ে যেতে পারেন। আজকের এই প্রতিবেদন থেকে জেনে নিন কি করে আপনি আপনার দুর্লভ কয়েন বিক্রি করতে পারবেন।
কয়েন বিক্রি করতে হলে প্রথমে আপনাকে Quikr বা Olx এর ওয়েবসাইটে “সেলার” হিসাবে রেজিস্টার করতে হবে। তারপর ওই ২ টাকার কয়েনের সামনের এবং পেছনের ছবি তুলে আপলোড করতে হবে। রেজিস্টার করার সময় আপনার ব্যক্তিগত ফোন নাম্বার এবং ইমেইল আইডি দিয়ে দিলে কিনতে ইচ্ছুক মানুষেরা আপনার সাথে সরাসরি যোগাযোগ করবেন। এরপর তার সাথে কথা বলেই ঠিক করে নিতে পারবেন কত টাকায় কয়েন বিক্রি করবেন এবং কোথায় ডেলিভারী দেবেন। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, যেই ২ টাকার কয়েনের কথা প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে তা প্রথম ভারতে আসে ১৯৮২ সালে। এটি কপার এবং নিকেল ধাতু দিয়ে তৈরি। কিন্তু শেষ কয়েক বছরে এই কয়েন তৈরি বন্ধ হয়ে গেছে। তাই তো এখন একটি দুর্লভ হিসাবে অনেক দামে বিক্রি হয়।