আইনি জটিলতায় জড়ালেন ভারতের সর্বকালের সেরা অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি। তবে প্রত্যক্ষভাবে না হলেও পরোক্ষভাবে তার নাম উঠেছে বিচার ব্যবস্থাপনায়। রিয়েল এস্টেট কোম্পানি আম্রপালি গ্রুপের বিরুদ্ধে কিছু আর্থিক প্রতারণাকে কেন্দ্র করে নাম উঠেছে মহেন্দ্র সিং ধোনির। তবে প্রাক্তন অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনিকে নিয়ে শুরু হওয়া সালিশি কার্যক্রম স্থগিত করেছে সুপ্রিম কোর্ট।
সুপ্রিম কোর্ট-নিযুক্ত ফরেনসিক অডিটর আদালতকে বলেছিল যে আম্রপালি গ্রুপ রিথি স্পোর্টস ম্যানেজমেন্ট প্রাইভেট লিমিটেডের (আরএসএমপিএল) সঙ্গে মহেন্দ্র সিং ধোনির সম্পর্ক প্রকাশ করেছে। যেখানে বলা হয়েছে, মহেন্দ্র সিং ধোনি ওই কোম্পানির সাথে ব্রান্ড এম্বাসেডর হিসেবে যুক্ত ছিলেন। ওই হাউজিং কোম্পানি ক্রেতাদের কাছ থেকে অবৈধভাবে অর্থ সংগ্রহ করেছিল। আর সোশ্যাল মিডিয়ায় ওই কোম্পানির নাম আসতেই মহেন্দ্র সিং ধোনির নাম জড়িয়ে পড়ে এই আইনি প্রক্রিয়ায়। জানা গেছে, ২০০৯ থেকে ২০১৫ সালের মধ্যে RSMPL-কে মোট ৪২.২২ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছিল।
এদিন ধোনি দিল্লি হাইকোর্টে গিয়েছিলেন। আদালত ১৬ অক্টোবর ২০১৯-এ প্রাক্তন বিচারক বীনা বীরবলকে ক্রিকেটার মহেন্দ্র সিং ধোনি এবং রিয়েল এস্টেট কোম্পানির মধ্যে মধ্যস্থতা করার জন্য আহ্বান জানিয়েছিলেন। সোমবার বিচারপতি ইউ ইউ ললিত এবং বেলা এম ত্রিবেদীর একটি বেঞ্চে একটি আদালত-নিযুক্ত ‘রিসিভার’ ধোনি এবং রিয়েল এস্টেট কোম্পানির মধ্যে মুলতুবি সালিশি কার্যক্রম এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে তাদের মুখোমুখি হয়ে সমস্যা সমাধানের প্রসঙ্গে পরামর্শ দিয়েছে।
রিসিভার হল আদালতের একজন কর্মকর্তা যিনি আদালতকে মামলার বিষয়বস্তু সংরক্ষণ করতে সাহায্য করেন যতক্ষণ না আদালত বিষয়টির সিদ্ধান্ত নেয়। সুপ্রিম কোর্ট তার আদেশের ওপর নির্ভর করে উল্লেখ করেছে যে, আবাসনে ক্রেতাদের স্বার্থ সুরক্ষিত আছে কিনা তা নিশ্চিত করার জন্য নানা ধরনের বিষয়গুলি খতিয়ে দেখছে। যাতে আবাসন প্রকল্পগুলি যথাসময়ে এবং অ্যাপার্টমেন্ট ক্রেতাদের জন্য সম্পন্ন করা নিশ্চিত করার জন্য আদালতের রিসিভার নিয়োগ করেছে।