বর্ধমান: চাকরির নামে আর্থিক প্রতারণা! চাকরি দেওয়ার নাম করে টাকা নেবার অভিযোগ শাসকদলের বিরুদ্ধে দীর্ঘ দিনের, এই নিয়ে রাজ্য-রাজনীতিতে জলঘোলা কম হয়নি। কিন্তু একই দলের কর্মী তার দলের নেতার বিরুদ্ধে চাকরি দেওয়ার নাম করে টাকা নেবার অভিযোগ করছেন এমন ঘটনার উদাহরণ খুব বেশি নেই। কিন্তু এবার ঠিক এমনই ঘটনা ঘটল বর্ধমানে (Burdwan)।
অতনু রায় নামে দলেরই এক কর্মী অভিযোগ করেন পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ ও জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক উত্তম সেনগুপ্ত ও ওনার স্ত্রী শিখা দত্ত সেনগুপ্ত এবং অয়ন বন্দ্যোপাধ্যায় নামে আরও এক তৃণমূল কর্মীর নামে অভিযোগ করেন যে এই তিন ব্যক্তি তাঁকে ফিজিক্যাল এডুকেশনের শিক্ষকের চাকরি করে দেবেন বলে অতনু বাবুর কাছ থেকে ৭ লক্ষ টাকা নেন কিন্তু সেই চাকরি তিনি পাননি,
উল্টে অভিযোগ অতনু বাবুকে নাকি একটি সরকারি দফতরেরে জাল নিয়োগপত্র দেওয়া হয়। তিনি সেটা জাল বুজতে পেরে যখন তাঁদের কাছে আসেন তখন ঐ নেতা আর নেতার স্ত্রী সেই নিয়োগ পত্র নিয়ে অতনু বাবু কে ৩ লাখ তাকার চেক দেন কিন্তু ব্যাঙ্কে সেই চেক বাউন্স করে এর পর বারবার টাকা চেয়ে না পেয়ে অবশেষে আদালতের দারস্থ হয়েছেন। আদালত বর্ধমান থানার পুলিশকে ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে।
এই অভিযোগের পক্ষে যে যথেষ্ট প্রমাণ তাঁদের কাছে আছে সে বিষয়ে জানিয়েছেন অতনু বাবুর আইনজীবী। অপর দিকে তৃণমূল নেতা উত্তম সেনগুপ্ত বলেছেন তিনি এই সব কিছুই করেননি। সবটাই বিজেপির চাল, তাকে ফাঁসানোর জন্য। বিধানসভা নির্বাচনের আগে তাঁদের ও তৃণমূলের বদনাম করতে গভীর ষড়যন্ত্র করা হয়েছে বলে দাবি করেন তাঁরা।