এইবার তৃণমূল সাংসদ প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাথে হেভিওয়েট বৈঠকে ছিলেন যুব তৃণমূল সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ক্যামাক স্ট্রিটের দফতরে এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কুণাল ঘোষও। করেকদিন আগেই একটি জনসভা থেকে বিজেপির যুব মোর্চা সভাপতি সৌমিত্র খাঁ দাবি করেছিলেন, হাওড়ার সাংসদ গেরুয়া তে যোগ দেবেন। ক্রিকেটারের পরে এইবার দলে গেরুয়া শিবিরে আসবেন একজন ফুটবলার। এইদিন সৌমিত্র(Soumitra Kha) বলেন,”একজন ক্রিকেটার আগেই চলে এসেছেন, এইবার আসবেন একজন ফুটবলারও। বিজেপিতে আসবেন চলে।” তখন অর্জুন পুরষ্কার প্রাপক প্রসূন (Prasun Banerjee)নেতার নাম করে তিনি বলেন,”ফুটবলারও আসবেন বিজেপিতে।”
সৌমিত্রের এই বিস্ফোরক মন্তব্যের পর প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়(Prasun Banerjee) বলেন,”এটা কোনও কথা? আমার একটা নীতি আছে। হাওড়ার মানুষ আমায় ভোট দিয়ে জিতিয়েছে। এইবার সাংসদের মধ্যে আমি সবচেয়ে বেশি ভোট পেয়েছি। যা হল ৪৭%। এগুলো কেবল বালখিল্যতা ছাড়া কিছু নয়।” সৌমিত্রের বক্তব্য শুনে হাসতে হাসতে তিনি আরও বলেন,”আমি মমতাকে ভালোবাসি, শ্রদ্ধা করি তাকে। যে যুদ্ধ উনি করেছেন তখন তার সাথে আমি ছিলাম। উড়ে আসিনি। হাওড়ার মানুষ আমায় তিনবার জিতিয়েছে। তারা কি ভাববেন।” তবে কিনি সাথে জানিয়েছিলেন দলের প্রতি তার অসন্তোশের কথাও গোপন করেননি। এইবারের বৈঠকে কি তবে মানভঞ্জন করা যাবে প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়ের। সেই বিষয়েই জল্পনা চলছে রাজনৈতিক মহলে।
অসন্তোষের কথা গোপন না করলেও বেসুরো কখনই হতে দেখা যায়নি প্রসূন। উল্টে তিনি বলেছিলেন, দলকে জিতিয়ে তবেই যা বলার তা নেত্রীকে তিনি বলবেন। দুই দিন আগেও তাকে বলতে শোনা যায়, তিনি দলের ব্যবহারে দুঃখ পেয়েছেন তা ঠিক। কিন্তু দল ছাড়ার কথা একবারও ভাবছেন না প্রসূন। সম্প্রতি বৈঠকের কিছুদিন আগে একই ভাবে বীরভূমের সাংসদ শতাব্দী রায়ের সাথে বৈঠক করে মানভঞ্জন পালা চালানো হয়েছিল অভিষেক(Abhishek Banerjee) ও কুণালের (Kunal Ghosh)পক্ষ থেকে। তাতে যে শাসক শিবিরের নেতৃত্ব লাভবান হয়েছিল সেই বিষয়ে বর্তমানে জানেন রাজ্যবাসী।
এদিনের বৈঠকেও যে তৃণমূলের জন্য আখেরে লাভদায়ক হয়েছে তা প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথাতেই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। হাওড়ার তিনবারের সাংসদ এদিন বলেন, “আমি মোহনবাগানের প্লেয়ার। খিদিরপুরে খেলতে যাবো কেন। কোথাও যাচ্ছি না।” অর্থাৎ তাঁর সাফ ইঙ্গিত, তিনি আপাতত দলেই থাকছেন। যা মান-অভিমান রয়েছে, সেগুলো দলের অন্দরেই জানানোর পক্ষপাতী তিনি।