স্বাধীনতা দিবসের আগেই বাংলার রেল পরিষেবায় যুক্ত হচ্ছে এক নতুন অধ্যায়। শিয়ালদা থেকে রানাঘাট এবং কৃষ্ণনগর পর্যন্ত এবার চলবে প্রথম এসি লোকাল ট্রেন। কলকাতা শহর ও শহরতলির যাত্রীদের জন্য এ এক উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ বলে মনে করছেন রেল কর্তৃপক্ষ।
আগামী রবিবার, বিশেষ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে উদ্বোধন হবে এই এসি লোকাল ট্রেনের। অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন রাজ্যের দুই সাংসদ, এবং রেলমন্ত্রী ভার্চুয়ালি যোগ দিতে পারেন বলেও জানা গেছে। সোমবার থেকেই যাত্রী পরিষেবায় চালু হয়ে যাবে এই নতুন এসি লোকাল ট্রেন। এই এসি লোকাল ট্রেনটি তৈরি হয়েছে চেন্নাইয়ের ইন্টিগ্রাল কোচ ফ্যাক্টরিতে। ট্রেনটিতে রয়েছে মোট ১২টি বগি, এবং এতে মেট্রোর মতো অত্যাধুনিক GPS-ভিত্তিক অ্যানাউন্সমেন্ট সিস্টেম ও টকব্যাকের সুবিধা থাকছে। ট্রেনের দরজা শুধুমাত্র স্টেশনে থামার পর খুলবে, যা যাত্রীদের নিরাপত্তা বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে।
শিয়ালদা থেকে বিভিন্ন স্টেশন পর্যন্ত নির্ধারিত ভাড়াও ঘোষণা করা হয়েছে। যেমন, শিয়ালদা থেকে দমদমের ভাড়া ২৯ টাকা, ব্যারাকপুরের ভাড়া ৫৬ টাকা, এবং কৃষ্ণনগরের ভাড়া ১৩২ টাকা। দৈনিক, সাপ্তাহিক, ১৫ দিনের এবং মাসিক পাসেরও ব্যবস্থা রাখা হবে। তবে একদিকে যখন নতুন প্রযুক্তির ছোঁয়ায় রেল পরিষেবায় এসেছে উন্নয়ন, অন্যদিকে বিপর্যয় দেখা দিয়েছে মেট্রো রেল পরিষেবায়। কবি সুভাষ মেট্রো স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে বসে গেছে জমি, পিলারে দেখা দিয়েছে ফাটল। উদ্বোধনের মাত্র ১৫ বছরের মধ্যেই এমন দুরবস্থায় প্রশ্ন উঠছে নির্মাণ ও রক্ষণাবেক্ষণের গুণমান নিয়ে।
মেট্রো কর্তৃপক্ষ দাবি করেছে, নির্মাণে কোনও ত্রুটি ছিল না। কিন্তু রাইটসের এক রিপোর্টে বেশ কিছু গঠনগত সমস্যা ধরা পড়েছিল, যেগুলোর মেরামতির কাজ পুজোর পর শুরু হওয়ার কথা ছিল। এরই মধ্যে স্টেশনে বিপর্যয় হওয়ায় আপাতত যাত্রী পরিষেবা শহিদ ক্ষুদিরাম স্টেশন পর্যন্ত সীমিত রাখা হয়েছে। মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষকে ইতিমধ্যেই ঘটনার বিস্তারিত রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছে রেল বোর্ড। টালিগঞ্জ থেকে কবি সুভাষ পর্যন্ত অন্যান্য পিলার নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে সংশ্লিষ্ট রিপোর্টে।














