কিছুদিন আগে থাকতেই বঙ্গ রাজনীতিতে চর্চার আরেক নাম জিতেন্দ্র তিওয়ারি। তিনি আসানসোলের প্রাক্তন পৌর প্রশাসক ও দলের সভাপতি। শুভেন্দু বিজেপিতে যোগ দেবে কি দেবে না যখন এই নিয়ে জল্পনা চলছে তখন দলের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেছিলেন জিতেন্দ্র তিওয়ারি। কিন্তু পদ থেকে ইস্তফা দেয়ার দুদিনের মধ্যেই আবারো তৃণমূলে ফিরে আসার সিদ্ধান্ত নেন জিতেন্দ্র। তিনি জানিয়েছিলেন, “ভুল বোঝাবুঝি হয়ে গিয়েছে। আমি তৃণমূল এই আছি। তৃণমূল ছেড়ে দিদিকে কষ্ট দিতে আমি পারবো না।”
তারপর থেকে জিতেন্দ্র তিওয়ারি সম্বন্ধে তেমন কোনো নতুন তথ্য শোনা যায়নি। কিন্তু আজ অর্থাৎ রবিবার নতুন করে জল্পনা সৃষ্টি হল জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে ঘিরে। তৃণমূলে আসতে চাইলেও জিতেন্দ্র এখনো তার পুরনো পদ ফিরে পায়নি। অনেকেই বলেছে জিতেন্দ্র দলের বিরুদ্ধে বিদ্রোহের শাস্তি পাচ্ছে। আর এরই মধ্যে আজকে এক অরাজনৈতিক সভায় যোগদান করেছিলেন জিতেন্দ্র তিওয়ারি। সেই নিয়ে জল্পনা শুরু হলেও অবশ্য জিতেন্দ্র তাতে গুরুত্ব দিতে নারাজ।
আজ অর্থাৎ রবিবার আসানসোল শহরে আদিবাসী সংগঠনের ডাকা এক মিছিলে পা মেলায় জিতেন্দ্র তিওয়ারি। সাঁওতালদের পৃথক “সারীধরম” কোডের দাবিতে রবীন্দ্র ভবন অব্দি সারীধরম মহাসম্মেলন অনুষ্ঠানে যোগ দেন তিনি। তিনি বলেছেন, “উদ্যোক্তারা আমাকে একমাস আগে থাকতে এই মহা সন্মেলনের যোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন। আমি তাদের দাবির সাথে সহমত পোষণ করি বলেই সাধারণ মানুষ হিসাবে তাদের সাথে পায়ে পা মিলিয়েছি।”
অনেকেই আজকে জিতেন্দ্র তিওয়ারির অরাজনৈতিক সভাতে যোগদানকে দলত্যাগের ইঙ্গিত হিসেবে ধরেছে। অবশ্য এর পিছনে যথেষ্ট কারণ আছে। জিতেন্দ্র তিওয়ারি তৃণমূলে ফিরতে চাইলেও তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বেরা এখনই তাকে তার পুরনো পদ ফিরিয়ে দেয়নি। এমনকি সেই পদে অন্য কেও বসতে পারে বলে জল্পনা চলছে। এই পরিস্থিতিতে হয়তো সে দলত্যাগ করতেও পারে। তবে জল্পনার অবসান ঘটিয়ে জিতেন্দ্র তিওয়ারি সাফ বলে দিয়েছে, “দিদির সঙ্গে ছিলাম, আছি এবং থাকব।”