সমস্ত জল্পনার অবসান ঘটিয়ে শেষ পর্যন্ত বিজেপিতে যোগ দিলেন পূর্ব মেদিনীপুরের হেভিওয়েট নেতা শুভেন্দু অধিকারী। দিলীপ ঘোষের হাত ধরে তিনি এদিন স্টেজে উঠলেন। অমিত শাহের পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করলেন। তারপর তিনি অমিত শাহের সঙ্গে হাতে হাত ধরে বললেন, ভারত মাতা কি জয়।
এরপর মেদিনীপুরের ওই মঞ্চ থেকে বিজেপি নেতা হিসেবে প্রথমবারের জন্য বক্তব্য রাখেন শুভেন্দু অধিকারী। শুভেন্দু এদিন বললেন, “পৃথিবীর সব থেকে বড় দলের হয়ে বক্তব্য রাখার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য অমিত শাহ কে ধন্যবাদ। তিনি ভারতের আন বান শান।” তিনি আরো বললেন,”অমিত শাহ আমার বড় দাদা। মুকুল রায় বলেছেন, আত্মসম্মান থাকলে তৃণমূলে থাকিস না। যাদের জন্য গ্রামে গ্রামে ঘুরে আসি, তারা কেউ খোঁজ নেয় না। কিন্তু যখন করণা হয়েছিল তখন অমিত শাহ খোঁজ নিয়েছিলেন। ”
পাশাপাশি তিনি তার দিকে ওঠা অনেক অভিযোগের কড়া ভাষায় জবাব দিলেন। তিনি বললেন, “আমি নিজের মায়ের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছি? কে আমার মা? আমার জন্মদাত্রী মা গায়ত্রী অধিকারী অন্য কেউ নয়। যদি মা বলতে হয় তাহলে ভারতমাতাকে বলব অন্য কাউকে নয়। কেন্দ্রীয় প্রকল্প রাজ্যে চালু করা হচ্ছে না। ” তিনি আরো বললেন, অনেকে আমাকে বিশ্বাসঘাতক বলছে। কিন্তু প্রতিষ্ঠার পর এনডিএ শরীক ছিল তৃণমূল। এবারে দ্বিতীয় হবেন মমতা প্রথম হবে বিজেপি। তিনি আরো বললেন, যেখানে বিশ্বাস নেই, সম্মান নেই, সেখানে থাকবো না।
তিনি আবার ভাইপোর বিরুদ্ধে তোপ দেগে কথা বললেন এদিন। বললেন, তোলাবাজ ভাইপো হটাও। এর আগে তৃণমূল কর্মীদের উদ্দেশ্যে খোলা চিঠি দিয়ে শুভেন্দু বলেছিলেন,”নিচু তলার কর্মীরা ধীরে ধীরে নিজেদের মধ্যে দল গঠন করেছে। যারা পার্টি তৈরি করেছেন তারা কিন্তু গুরুত্ব পাননি। উল্টোদিকে তারা গুরুত্ব পেয়েছেন যারা ব্যক্তিগত স্বার্থে দলে রয়েছেন। রাজ্যে উন্নয়নের জন্য সিদ্ধান্ত নিতে হবে আপনাদের। এই কারণে আমি পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। দীর্ঘ ১০ বছর ক্ষমতায় থাকার পরে দুয়ারে দুয়ারে সরকারের মতো প্রকল্প গ্রহণ করতে হচ্ছে। আশা করি আপনারা আমার সঙ্গে থাকবেন। যে আদর্শের লড়াই আমরা শুরু করেছিলাম, সেই লড়াই জারি রাখবো।