একুশে বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাজ্যের সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলি পূর্ণ উদ্যমে ভোট প্রচারের উদ্দেশ্যে মাঠে নেমে পড়েছে। এই মুহূর্তে সব দলের নেতারা অন্য দলের নেতার বিরুদ্ধে শব্দবান নিক্ষেপ করে নিজেদের শক্তি প্রদর্শন করছে। আর তৃণমূল-বিজেপি দ্বন্দ্বে সরগরম হয়ে আছে গোটা বঙ্গ রাজনীতি। এরইমধ্যে বীরভূমে তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডার জনসভাকে বিদ্রুপ করে মন্তব্য করেছেন। অনুব্রত মণ্ডল বলেছেন, “রাজ্যে খেলা হয়েছে। তাই বীরভূমে নড্ডার জনসভাতে ১০০০ এর বেশি লোক হয়নি।”
আসলে গতকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার তারাপীঠে পুজো দিয়ে পরিবর্তন যাত্রার সূচনা করে নড্ডা। তিনি বীরভূম চিলার ময়দানে জনসভা করেন। সেই জনসভাতে ১০০০ এর বেশি লোক হয়নি বলে দাবি করেছেন এলাকার দাপটে তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল। তিনি দলীয় তৃণমূল কার্যালয়ে বসে নড্ডারজনসভার ছবি দেখিয়ে বলেছেন যে বিজেপি এত হেভিওয়েট নেতা আনা সত্ত্বেও লোক আনতে ব্যর্থ হয়েছে। তারপর তিনি বিদ্রুপ করে বলেছেন, “আজ মিটিং থেকে যতক্ষণ প্লেনে করে দিল্লি যাবেন নড্ডা, ততক্ষণ কৈলাস বিজয়বর্গীয় কে গাল দিতে দিতে যাবেন।”
এছাড়াও এদিন গেরুয়া শিবিরের জনসভায় লোক কম হওয়া নিয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে অনুব্রত মণ্ডল বলেছেন সব কিছুর পিছনে আসলে খেলা আছে। অনুব্রত মণ্ডল সরাসরি বলেছেন, “খেলা হয়েছে বলেই তো আজকে লোক নেই। যদি খেলা না হতো তাহলে আজকে লোক থাকতো। তবে এই খেলা আবার হবে।” অন্যদিকে বিজেপির ব্যর্থ সভা প্রসঙ্গ মানতে নারাজ গেরুয়া শিবির নেতারা। বীরভূমের বিজেপির জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহা পাল্টা কটাক্ষ করে বলেছেন, “অনুব্রতের চোখের সমস্যা হয়েছে বলে আমার মনে হচ্ছে। সেই জন্য বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি সভায় কতজন লোক এসেছে সেটাও দেখতে পাইনি। ওর তাড়াতাড়ি চোখের চিকিৎসকের কাছে যাওয়া উচিত।”