আগামী ২২ জানুয়ারি অযোধ্যার রাম মন্দিরে বসবেন রামলালা। এ নিয়ে সারা দেশে ব্যাপক কৌতূহল রয়েছে। অযোধ্যায়ও চলছে দ্রুত প্রস্তুতি। রাম মন্দির হিন্দুদের বিশ্বাসের বিষয়, তাই দেশের প্রতিটি কোণ থেকে মানুষ তাদের পক্ষ থেকে এতে অবদান রাখতে চান। অনুষ্ঠানটিকে বিশেষ করে তুলতে গুজরাটের ভাদোদরায় ধূপকাঠি তৈরি করা হচ্ছে, যার দৈর্ঘ্য ১০৮ ফুট। ধূপকাঠি তৈরির পর তা অযোধ্যায় পাঠানো হবে। খামারে ১০টিরও বেশি লোহার ট্রাইপড স্টাব স্থাপন করা হয়েছে এবং তার উপরে ধূপকাঠি তৈরি করা হচ্ছে।
অন্যদিকে রাম মন্দিরে প্রাণ প্রতিষ্ঠা অনুষ্ঠান নিয়ে দেশের নামকরা একাধিক ব্যক্তিত্বদের আমন্ত্রণ পাঠানো হয়েছে। যারা আমন্ত্রণ পেয়েছেন তাদের মধ্যে ৪০০০ সাধুও রয়েছেন। শ্রী রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ‘এক্স’ সম্পর্কে তথ্য দিয়েছে। এতে বলা হয়েছে, সমস্ত ঐতিহ্যের সাধু-সন্ন্যাসীদের পাশাপাশি যে কোনও ক্ষেত্রে দেশের সম্মান বৃদ্ধিকারী সমস্ত বিশিষ্ট ব্যক্তিদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। সারা দেশ থেকে প্রায় ১৫০ জন চিকিৎসকও তাদের সেবার অনুমোদন দিয়েছেন। অযোধ্যার প্রতিটি কোণে লঙ্গর, রেস্টুরেন্ট, ভান্ডারা, অন্নক্ষেত্রের আয়োজন করা হবে বলে জানানো হয়েছে।
রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ১৯৯২ থেকে ১৯৮৪ সালের মধ্যে সক্রিয় সাংবাদিকদেরও অযোধ্যায় আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। জানা গিয়েছে, গণেশ ভাট, অরুণ যোগীরাজ, সত্যনারায়ণ পাণ্ডে রামলালার মূর্তি তৈরি করছেন। ভারতের এই বিশেষ দিনে কাশীর গণেশ শাস্ত্রী দ্রাবিড় লক্ষ্মীকান্ত দীক্ষিত (আচার) পূজা পরিচালনা করবেন, এবং পবিত্র অনুষ্ঠানের পরে, ৪৮ দিনের মণ্ডল পূজা হবে যার নেতৃত্বে থাকবেন বিশ্বপ্রসন্ন তীর্থজি।