আশির দশকের বলিউডে উল্কা গতিতে উত্থান হয়েছিল বঙ্গ সন্তান বাপি লাহীড়ির। একের পর এক হিন্দি ছবিতে হিট গান উপহার দিয়েছেন। এমনকি বহু গানকে কম্পোজ করা সুর থেকে তাঁর গানে বুঁদ হয়েছিল সারা ভারতবাসী। এমনকি কয়েক বছর কয়েক আগে ‘দ্য ডার্টি পিকচার’, ‘গুন্ডে’র মতো হিড় ছবিতে গাওয়া তাঁর গানে নেচে উঠেছিল আট থেকে আশি। আর আজ সেই বাপ্পি লাহিড়ী নাকি হারিয়েছেন নিজের গলার সুর। এমনকি নিজের আপনজনের সাথে কথাও বলতে পারছেন না ! এই নিয়ে শুরু হয়েছে জোর গুঞ্জন বলিউডে।
বর্ষীয়ান গায়ক বাপ্পি লাহিড়ী নাকি আজ আর গাইতে পারবেন না গান? যা সঙ্গীতপ্রেমীর কাছে অবিশ্বাস্য। এবছর এপ্রিল মাসেই করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন সংগীত শিল্পী বাপ্পি লাহিড়ী। ভর্তি ছিলেন মুম্বইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে। এরপর কোভিড থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে আসলেও শরীর আর আগের মতো সম্পূর্ণ ঠিক হয়নি। এরপরেই বলি ইন্ড্রাস্টিতে নতুন গুঞ্জন শুরু হয়, করোনাতে অসুস্থ হওয়ার অওর নাকি গলার সুর সম্পূর্ণ হারিয়েছেন বাপ্পি। হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরে আসার পর তাঁকে দেখতেও গেছিলেন দুই ইন্ডাস্ট্রির বেশ কয়েকজন নামী ব্যক্তিত্ব। তাঁদের সঙ্গেও নাকি কোনও কথা বলেননি বাপ্পি।
ওই অতিথিদের মধ্যে কেউ কেউ বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন শরীর সম্পূর্ণ ভেঙে পড়েছে এই বর্ষীয়ান সুরকারের। আগের মতো আর ফিট নেই। নিজের বাবার এই অসুস্থতার খবর পেতেই লস অ্যাঞ্জেলস থেকে দেশে ফিরেছেন ছেলে বাপ্পা। তারপর বাবার শারীরিক অবস্থা দেখে বাবাকে ছেড়ে আর মার্কিন মুলুকে ফিরে যাননি। নিজেই এখন বাবার খেয়াল রাখছেন। বাপ্পির পরিবার ঘনিষ্ঠ এক সূত্র থেকে জানা গিয়েছে, করোনা চিকিৎসার সময় ফুসফুস সংক্রান্ত বেশ কিছু সমস্যা ধরা পড়েছে।
সেইজন্যই নাকি চিকিৎসকদের নির্দেশে এই মুহূর্তে গায়কের কথা বলা বারণ। অন্যদিকে বাপ্পা সরাসরি নিজের বাবার সুর হারানোর কথা নিয়ে কিছু না বললেও আবভাবে বুঝিয়েছেন করোনা বেশ ভালোমতোই প্রভাব ফেলেছে তাঁর অসুস্থ বাবার স্বাস্থ্যে। কোভিড হওয়ার পর থেকেই একেবারেই ঝিমিয়ে গিয়েছেন বাপ্পি। এছাড়া রয়েছে তাঁর হাঁটুর সমস্যা। এমনকি শোনা যায় খুব শীঘ্রই তাঁর হাঁটু প্রতিস্থাপন করা হবে। তবে বাবার এই কঠিন অবস্থাতে এক্কেবারেই ভেঙে পড়েননি বাপ্পা। বরং ছেলের আশা ভবিষ্যতে আবার হেঁটেচলে স্বাভাবিক সুস্থ জীবনে ফিরবেন বর্ষীয়ান গায়ক।