সংগীতজগতে ফের ইন্দ্রপতন। চির অন্ধকারের দেশে তলিয়ে গেলেন বাপ্পি লাহিড়ী। গতকাল সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের পর আজ অর্থাৎ বুধবার সকালে মুম্বাইয়ের এক হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী। ভারতীয় সংগীতের ইতিহাসে তাঁর অবদান কখনও ভোলা যাবে না। নিজের গান দিয়ে, আট থেকে আশি সকলকে নাচতে বাধ্য করেছেন এই মহান শিল্পী। এমনকি এইজন্য তাঁকে ‘ডিস্কো কিং’ তকমা দেওয়া হয়েছিল। অনবদ্য গানের পাশাপাশি মাঝেমাঝেই চর্চায় আসত বাপ্পি লাহিড়ীর ফ্যাশন সেন্স।
সবসময় বাপ্পি লাহিড়ী বিভিন্ন দামি দামি সোনার গয়না পরতেন। পাশাপাশি বেশ বিলাসবহুল জীবনযাপন করতেন তিনি। তাঁর যে বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি ও উল্লেখযোগ্য পরিমাণ সোনা রয়েছে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। ২০১৪ সালে নির্বাচনী লড়াইয়ে অংশগ্রহণ করার সময় নির্বাচনী হলফনামায় তিনি জানিয়েছিলেন যে তাঁর কাছে ৭৫৪ গ্রাম সোনা এবং ৪.৬২ কেজি রুপোর গয়না রয়েছে। তখনকার বাজারমূল্য অনুযায়ী তাঁর সোনার গয়না ছিল প্রায় ৪০ লাখ টাকার এবং রুপোর গয়না ছিল ২ লাখ ২০ হাজার টাকার। তারপর থেকে ৮ বছরে তার গয়নার পরিমাণ যে অনেকটাই বেড়েছে তা নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই।
সোনা কেনার পাশাপাশি গাড়ি কেনারও শখ ছিল বাপ্পিদার। নির্বাচনী হলফনামা অনুযায়ী, ৫ টি গাড়ি কিনেছিলেন তিনি। তাঁর কাছে একটি ৪২ লাখ টাকার বিএমডব্লিউ গাড়ি, ৩২ লাখ টাকার অডি গাড়ি, ২০ লাখ টাকার ফিয়াট গাড়ি, ১৬ লাখ টাকার সনেট গাড়ি ও ৮ লাখ টাকার স্করপিও ছিল। এছাড়াও জানা গিয়েছে, তাঁর নামে স্বয়ংচালিত একটি টেসলা এক্স গাড়িও ছিল।
বাপ্পি লাহিড়ীর ভারতে বেশ কয়েকটি বাড়ি রয়েছে। তার মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য মুম্বাইয়ের বাড়িটি। ২০০১ সালে সাড়ে ৩ কোটি টাকা দিয়ে তিনি এই বাড়িটি কিনেছিলেন। অন্যান্য বাড়ি সম্পর্কে তেমন কোনো তথ্য নেই। তিনি প্রতিটি গানের ১০ লাখ টাকা করে নিতেন এবং ১ ঘন্টার লাইভ পারফরম্যান্সের জন্য ২০-২৫ লাখ টাকার কাছাকাছি নিতেন। একটি সর্বভারতীয় সংবাদপত্রের সমীক্ষার তথ্য অনুযায়ী, এই কিংবদন্তি গায়কের মাসিক আয় ছিল ২০ লাখ ও বাৎসরিক আয় প্রায় ২০ কোটি টাকার বেশি ছিল।