“পাবলিসিটির জন্য নিজের দলের লোককে গুলি করে মারছে বিজেপি”, ঘটনার তীব্র নিন্দা মমতার

গতকাল থেকেই শিলিগুড়ি উত্তরকন্যা বিজেপি অভিযানের এক বিজেপি কর্মী খুন নিয়ে বঙ্গ রাজনীতিতে প্রবল চাপানউতোর চলছে। বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ ও অন্যান্য বিজেপি নেতাকর্মীরা বিজেপি কর্মী খুনের জন্য রাজ্য পুলিশের দিকে আঙ্গুল তুলেছে। কিন্তু আজকের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট ঘটনার মোড় ঘুরিয়ে দিল। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট অনুযায়ী জানা গিয়েছে ওই ব্যক্তিকে খুব কাছ থেকে শটগানের গুলিতে মারা হয়েছে। অন্যদিকে রাজ্য পুলিশ কোনরকম শটগান ব্যবহার করে না।

আজ উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজে মৃত বিজেপি কর্মী উলেন রায়ের ময়নাতদন্ত হলে রাজ্য পুলিশ এই চাঞ্চল্যকর তথ্য টুইট করে। রাজ্য পুলিশ টুইট করে বলে, “ময়নাতদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ী শটগানের আঘাতে মৃত্যু হয়েছে ওই ব্যক্তির। আর পুলিশ শটগান ব্যবহার করে না। তাই এটা স্পষ্ট গতকাল শিলিগুড়িতে বিক্ষোভের সময় সশস্ত্র লোকজনদের নিয়ে আসা হয়েছিল এবং তাদের আগ্নেয়াস্ত্র থেকে গুলি চলেছিল। খুব কাছ থেকে গুলি চালিয়ে মারা হয়েছে ওই ব্যক্তিকে।” তাহলে হয়তো বিজেপির মিছিল থেকে কেউ গুলি করে খুন করেছে ওই বিজেপি কর্মীকে। রাজ্য পুলিশ এই ঘটনার তদন্তভার সিআইডির হাতে তুলে দিয়েছে।

এরপর আজ রানীগঞ্জের সভা থেকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই ঘটনার জন্য কাঠগড়ায় তুলেছে বাংলা গেরুয়া শিবিরকে। তিনি সরাসরি কটাক্ষ করে বলেন, “বিজেপি নিজের মিছিলে নিজের লোকদের মেরে দিচ্ছে। নির্বাচনের আগে পাবলিসিটি, প্রোপাগান্ডা করার জন্য এতটা নিচে কেউ কি করে নামতে পারে। বিজেপি রাজ্য ঝড়ের বেগে কুৎসা ও অরাজকতা রাজনীতি শুরু করছে। আমি সেটা হতে দেব না। আমি শুধু চাই ঝড়ের বেগে কাজ হোক আর রাজ্যের উন্নয়ন হোক।”

অন্যদিকে বিজেপি কর্মী খুন ঘটনায় প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন তৃণমূল নেতা সুব্রত মুখোপাধ্যায়। তিনি বলেছেন, “ময়নাতদন্তের পর এটা স্পষ্ট পুলিশের তরফ থেকে কোন গুলি চালানো হয়নি। ওই ব্যক্তি নিজেদের লোকের বন্দুকের গুলিতে মরেছে। এর আগে মৃত্যু নিয়ে রাজনীতি করতে সিপিএম। আর এখন তা শুরু করেছে বিজেপি। ক্ষমতার লোভে পাগল হয়ে গেছে ওরা।”